অনেকেরই ব্রণের সমস্যা আছে। সাধারণত দুশ্চিন্তা, ঘুম না হওয়া, ত্বকের অযত্ন, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, জীবাণুর সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে ব্রণ হয়ে থাকে। ব্রণ শুষ্ক ত্বকে তুলনামূলক কম দেখা গেলেও তৈলাক্ত ও সংবেদনশীল ত্বকে এটি বেশি হয়। ব্রণ হোক, তাতে সমস্যা নেই। সমস্যা তখনই হয়, যখন এর দাগ সেঁটে যায় চেহারায়। এতে ত্বক হারায় লাবণ্য। তাই জীবাণুর সংক্রমণ কিংবা অন্য কোনো কারণে যেন ত্বকের লাবণ্য না হারায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি। কেননা, অতিরিক্ত গরম ও ঘাম থেকেও হতে পারে ব্রণের সমস্যা। ব্রণ দূর করতে কী করতে হবে, সে বিষয়ে ভেষজ বিশেষজ্ঞ ও ভেষজ পণ্য প্রতিষ্ঠান ‘আমলকী’র প্রধান নির্বাহী নন্দিতা শারমিন বেসরকারি গণমাধ্যমে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। নন্দিতা শারমিন জানান, মুলতানি মাটির সঙ্গে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে সংক্রমিত স্থানে লাগালে ধীরে ধীরে ব্রণ দূর হয়। পুদিনা পাতার রসের সঙ্গে তুলসীপাতার রস মিশিয়ে আইসবক্সে রেখে দিন। বরফ হয়ে গেলে তা ব্রণের ওপর আলতো করে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন এভাবে ব্যবহার করলে অনেকটাই সমাধান মিলবে। এ ছাড়া ব্রণ তাড়াতে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার বর্জন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ব্রণ দূর করার ঘরোয়া প্যাক : (১) আপেলের পেস্টের সঙ্গে পাঁচণ্ডছয় ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি কিছুক্ষণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্ট ব্যবহারে ত্বক টানটান হবে। যদি মধুতে অ্যালার্জি থাকে, সে ক্ষেত্রে মধু এড়িয়ে চলবেন। (২) ত্বকের ব্রণ ও খসখসে ভাব দূর করতে ডিমের সাদা অংশ লাগাতে পারেন। এজন্য ডিমের সাদা অংশ আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। চাইলে এর সঙ্গে লেবুর রস মেশাতে পারেন। (৩) পাকা পেঁপে চটকে এর সঙ্গে পাতিলেবুর রস ও চালের গুঁড়া মেশান। এ মিশ্রণ দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বক পরিষ্কার থাকবে। (৪) কাঁচা হলুদের সঙ্গে নিমপাতা বেটে লাগালেও ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদ ও নিমপাতার পেস্টের সঙ্গে লেবুর রসও মেশাতে পারেন। (৫) ব্রণ হলে তার ওপর ঘৃতকুমারীর রস লাগাতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ব্রণের ওপর ঘৃতকুমারীর রস লাগালে ত্বক শীতল হবে। মিলবে আরাম।