ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সার্ভার ব্যবস্থা অচল

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সব কার্যক্রম বন্ধ

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সব কার্যক্রম বন্ধ

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সব কার্যক্রম গতকাল পর্যন্ত ১০ দিন বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ইলেকট্রনিকসসামগ্রী পুড়ে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে গোটা সার্ভার ব্যবস্থা। সার্ভার সচল না থাকায় গত ৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের পাসপোর্টসেবা প্রদান কার্যক্রম। বারবার চেষ্টার পরও সচল হয়নি অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর (এভিআর) মেশিন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। কবে নাগাদ সচল হবে কার্যক্রম, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকাল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল সড়কের পাসপোর্ট অফিসের আওতাধীন বিদ্যুতের একটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়। এতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামায় পুড়ে যায় পাসপোর্ট অফিসের অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর (এভিআর)। এতে বন্ধ হয়ে যায় অফিসের পুরো সার্ভার। সার্ভার বন্ধ হলে ১০ দিনেও তা আর সচল করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে সেখান থেকে প্রকৌশলীরা আসেন চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক কার্যালয়ে। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরও সচল করা যায়নি এভিআর। বারবার ভোল্টেজ ওঠানামার কারণে বিকল হয়ে পড়ে যন্ত্রটি। সেবাপ্রত্যাশীরা অফিসে এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। প্রতিদিন যে অফিসে তিন শতাধিক মানুষ সেবা নিতে আসেন, সেই অফিস প্রাঙ্গণ এখন অনেকটাই ফাঁকা। নেই কোনো ব্যস্ততা। দূরদূরান্ত থেকে আসছেন সেবাপ্রত্যাশীরা ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে। এতে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার খানপাড়া থেকে আসা জামিল হোসেন নামে এক সেবাপ্রত্যাশী বলেন, অফিস টাইমে পাসপোর্ট অফিসের সব কক্ষে তালা ঝুলছে। নতুন পাসপোর্ট করতে এসে কাগজপত্র জমা না দিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা সদরের থেকে আসা তানভির ও রহিম নামে দুই সেবাপ্রত্যাশী বলেন, পাসপোর্ট নবায়ন করতে এসে কাউকে না পেয়ে কাগজপত্র জমা না দিয়েই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ি গ্রামের ফিরোজ বলেন, আমি অতি জরুরি পাসপোর্ট করতে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম ১৫ দিন আগে। আমার পাসপোর্ট হয়ে গেছে। কিন্তু সার্ভার বন্ধ থাকায় পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছি না। এখানকার কোনো কর্মকর্তা বলতে পারছেন না কবে ঠিক হবে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে অনেকেই আসছেন পাসপোর্ট ডেলিভারি বা জমা দেয়ার জন্য। কোনো কার্যক্রম না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। আবু কালাম আজাদ সহকারী মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার জানান, গত বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এসে পৌঁছেই এভিআর মেশিনটি দেখলাম। বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজের কারণে মেশিনটি নষ্ট বা আংশিক যন্ত্রাংশ পুড়ে গেছে। চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সাত্তার জানান, এভিআর মেশিনে সমস্যা হওয়ায় গত ২৭ জুলাই থেকে পাসপোর্ট অফিসের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী ও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের প্রকৌশলীরা এসে পর্যবেক্ষণ করেছেন। বারবার চেষ্টা করেও তা এখনো সচল হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এ সমস্যা হয়েছে। তবে যে কোনো সময় এভিআর মেশিন চালু হতে পারে। তখন আর মানুষের ভোগান্তি থাকবে না। তিনি আরো জানান, ঢাকা থেকে একটি টিম এসেছে এভিআর মেশিন ঠিক করার জন্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত