ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের স্টাফ কোয়ার্টারে সুখি আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সুখির স্বামী ঢাবির গ্রন্থাগারের অফিস সহায়ক ঝন্টু মৃধার দাবি, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুখির স্বামী ঝন্টু মৃধা জানান, ২০১৬ সাল থেকে তারা শহিদুল্লাহ হলের স্টাফ কোয়ার্টারে টিনশেড ঘরে থাকেন। গত পাঁচ মাস আগে তাদের যমজ ছেলে সন্তান হয়। তবে জন্মের ৫-৬ দিন পর এক সন্তান মারা যায়। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সুখি। হতাশাগ্রস্ত সুখিকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে সুখি তাকে বলেন, তার শরীর খারাপ লাগছে। দোকান থেকে তার জন্য খাবার স্যালাইন আনতে। তখন ঝন্টু তার কথামতো দোকানে যান খাবার স্যালাইন আনতে। স্যালাইন কিনে ১০ মিনিট পর বাসায় ফিরে দেখেন, ঘরের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন সুখি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে সেখান থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।