ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন

ইবিতে পোষ্য কোটায় শর্ত শিথিলের দাবি

ইবিতে পোষ্য কোটায় শর্ত শিথিলের দাবি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের দাবিতে আন্দোলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় তারা আন্দোলন এবং কর্মবিরতি শুরু করেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে তাদের এ কর্মবিরতি।

জানা যায়, গত ২৬ জুলাই প্রথম কর্মবিরতি শুরু করে ইবি কর্মকর্তারা। তারপর গতকাল হয় তাদের চতুর্থ দিনের মতো কর্মসূচি। দাবি না মানলে সামনে আরো কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তাদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে শর্ত রাখা হয়েছে। তাহলে কোটাধারীদের কী সুবিধা দেয়া হলো। পোষ্য কোটাধারী হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম যোগ্যতায় ভর্তি নিলে আহামরি কোনো ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেন তারা।

তথ্য মতে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ন্যূনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর (৩০) প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, নৃ-গোষ্ঠী, উপজাতি, হরিজন দলিত জনগোষ্ঠী, খেলোয়াড় এবং পোষ্য কোটার শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় শর্তপূরণ সাপেক্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ, পোষ্য কোটা থাকা সত্ত্বেও শর্তপূরণ না করতে পারায় তাদের সন্তানরা বিশেষ সুবিধায় ভর্তি হতে পারছেন না।

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, ‘পৌষ্য কোটায় আমাদের ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাব এটা আমাদের অধিকার। আমরা দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্যের কাছে অনুরোধ করে আসছি। তাতে আমরা কোনো উল্লেখযোগ্য সমাধান পাচ্ছি না।’

তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে অনেকবার স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রশাসন চলুক এটাই আমাদের চাওয়া।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের আন্দোলনের পর চার দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলন শেষে উপাচার্য কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। বিষয়গুলো খুবই যৌক্তিক ও সমস্যা সমাধান করতে সবগুলোর কাজই ইতিমধ্যে চলমান বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো তুলে ধরে বলেন, ১. পোষ্য কোটায় নির্ধারিত নাম্বার নির্ধারণ করা, ২.বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা কর্তৃক শিক্ষার্থীদের হেনেস্তা বন্ধ, ৩. প্রশাসন ভবনে সার্টিফিকেট উত্তোলনের সময় ভোগান্তি নিরসন, ৪. দ্রুত ই-ব্যাংকিং সেবা চালু করা।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করতে এসেছি, না পড়াশোনা করতে এসেছি। আমাদের প্রতিটি সমস্যা সমাধান করতে হলে আন্দোলন ছাড়া সমাধান হয় না কেনো? ‘

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আমার মনে দোলা দিয়েছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছি না, তবে এতটুকু বলছি, ‘ই-ব্যাংকিং সেবার কাজ

প্রায় শেষের দিকে। কর্মকর্তাদের দ্বারা ভোগান্তির শিকার বিষয়টা শুনলাম। সবার সাথে কথা বলে দেখি। ইতিমধ্যেই সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা চলমান, যা প্রায় শেষের দিকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত