বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, খুনিদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলতেই থাকবে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শান্তির স্বপক্ষের সংগ্রাম সব সময় চলবে। যে কোনো মূল্যে আমাদের গণতন্ত্রকে আমরা রক্ষা করব। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়, মানুষ যাতে তাদের ভোট দিতে পারে, তার জন্য আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কাজ করতে হবে।
গতকাল সকালে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আহ্বান জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের মানুষদের বুঝাতে হবে। এ লড়াই চিরন্তন। এ লড়াই চলতেই থাকবে। আমাদের পিছু হাটার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, শহীদ শেখ কামাল ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সোনালি অর্জন। তিনি সব সময় অবিভক্ত ঢাকার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে বেড়াতেন। ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করতেন। তিনি একজন মেধাবী ছাত্র এবং ভালো ক্রিড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি নিজেও সব সময় খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতেন।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সত্যের কাছে মিথ্যা সবসময় পরাজিত হয়। শহীদ শেখ কামালের যোগ্য মর্যাদা আমরা আজ তাকে দিতে পেরেছি এটাই বড় আনন্দ। একদিন যারা শহীদ শেখ কামালের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল আজ দেখি তারাও তার বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। এটাই হলো সত্যের কাছে মিথ্যার আত্মসমর্পণ। যারা একদিন অপবাদ দিয়ে মিথ্যাচার করেছে, বড় গলায় কথা বলেছে, আজ সেই দস্যুদেরও পরিবর্তন হয়েছে। এটাই জাতির পিতার আদর্শের বিজয়।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শহীদ শেখ কামাল সহজেই সাধারণ ছাত্রদের সাথে মিশে যেতে পারতেন। তিনি ছিলেন বিনয়ী। তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্ব পালন না করেও থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি অন্য ১০ জনের মতোই ট্রেনিং নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি খুব সাধারণভাবে চলাফেরা করতেন। কখনোই পদে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হতেন না। শহীদ শেখ কামাল একজন সাধারণের মাঝেও ছিলেন অসাধারণ। তিনি বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। বাঙালি সাহিত্যের প্রতিও তার ছিল আগ্রহ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস, আব্দুল আলীম বেপারী, সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আ ফ ম মাহাবুবুল হাসান মাহাবুব, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইসহাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম, দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।