ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফৌজদারহাট এলাকায় লরি থেকে ছিটকে পড়া কনটেইনার চাপায় একটি প্রাইভেট কার দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। তবে প্রাইভেট কারে থাকা চালকসহ পাঁচজন সামান্য আহত হলেও প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। এ সময় মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১১টার মধ্যে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাইওয়ে পুলিশের বার আউলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, লরি এবং প্রাইভেট কার উভয়ই ঢাকামুখী ছিল। সামনে থাকা লরি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কারকে ধাক্কা দেয়। লরি থেকে কনটেইনার উল্টে কারের ওপর গিয়ে পড়ে। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের টিম মিলে চাপা পড়া কারের ভেতরে থেকে পাঁচজনকে বের করে আনে। এরা সামান্য আহত হয়েছেন। চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচজনই পুরুষ।
ওসি বেলাল আরো জানান, ফায়ার সার্ভিসের টিম লরি ও প্রাইভেট কারকে মহাসড়কের একপাশে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। গাড়ি দুটি পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের নায়েক নূরে আলম জানান, আহত অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। এ ঘটনায় আহতরা হলেন আবু বক্কর (৪২), মুছা আহমেদ (৬০), আদিলা আক্তার (৬), আদিনা আক্তার (৩)। তাদের সবার বাড়ি ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার এলাকায়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাইভেট কারটি সীতাকুন্ডের দিক থেকে এসে ফৌজদারহাটে ইউটার্ন করেছিল। এ সময় এটি ঢাকামুখী দ্রুতগামী কনটেইনারবাহী একটি টেইলরের সামনে পড়ে যায় এটি। এ সময় টেইলরে থাকা কনটেইনারটি শিকল ছিঁড়ে প্রাইভেট কারের ওপর গিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাজ্জাক আরো বলেন, খবর পেয়ে তারা কনটেইনারটি সরিয়ে আহত অবস্থায় যাত্রীদের বের করে হাসপাতালে পাঠান। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দায়িত্বরত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আহত অবস্থায় আবু বক্কর ও মুছাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। হাইওয়ে পুলিশ বার আউলিয়া থানার এসআই উজ্জ্বল ঘোষ জানান, দুর্ঘটনার পরপর টেইলর ও প্রাইভেট কার দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।