আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয় বর্তমান ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫ বিলিয়নে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া গত শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই নির্দেশনা দেন।
সাভার চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলো, সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি) এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশ কমপ্লায়েন্স ও লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) মানদ- উন্নত করার বিষয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়। তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শিল্প সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের (বিএসসিআইসি) চেয়ারম্যান, ট্যানারি মালিক ও চামড়াজাত তৈরি শিল্পের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, সাভারের ট্যানারি শিল্পের সিইটিপি ত্রুটিমুক্ত করে মানদণ্ডের উন্নয়ন করা খুবই জরুরি। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা যদি যথোপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি, এই খাত থেকে আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উন্নীত করা খুব কঠিন হবে না।’ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, তবে এজন্য আমাদের প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, এই পরিবেশ তৈরি করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কমপ্লায়েন্সের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমাদের দেশেরও চামড়াজাত শিল্পের কমপ্লায়েন্সকে ত্রুটিমুক্ত করে উন্নত করতে হবে।