জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সেপ্টেম্বর থেকেই টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হবে

বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি বলেছেন, নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ জরায়ুমুখ ক্যান্সার। এতে আক্রান্তের হার বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ এবং দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জরায়ু ক্যান্সার বিশ্বে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ নারী মারা যান যার মধ্যে ৯০ ভাগই ঘটে উন্নয়নশীল দেশে। বাংলাদেশে প্রতি লাখ নারীর মধ্যে ১৬ জন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং ৬,৫৮২ জন নারী বছরে মারা যান। জরায়ুমুখ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী শেষ পর্যায়ে শনাক্ত হন বলে মৃত্যুসংখ্যা বেশি হয়। তবে হোসএইজ এর সর্বশেষ সুপারিশ অনুযায়ী এনটিজির সিদ্ধান্ত অনুসারে ১ ডোজ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদান করলে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এজন্য আমরা দেশের ১০-১৪ বছর বয়সি মেয়েদের এই এইচপিভি টিকা দেয়া শুরু করব। আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে সাড়ে ২৩ লাখ ভ্যাকসিন আছে। এগুলো স্কুল পর্যায়ে থেকে দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকায়, দ্বিতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম, বরিশালে দেয়া হবে। এরপর সারা দেশে দেয়া হবে। আগামী নভেম্বর মাসে আরো ২০ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে এবং ২০২৪ সালে আরো ৪২ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। গতকাল সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। সংবাদ সম্মেলনে কলেরা টিকা প্রদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কলেরা রোগের ভ্যাকসিন প্রথম পর্যায়ে ১২ লাখ ডোজ, পরবর্তী পর্যায়ে ২৪ লাখ লোককে ২ ডোজ করে ৪৮ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি বাড়তে যাচ্ছে। গত জুলাই মাসে দেশে ৪৫ হাজার জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, অথচ এই সংখ্যা গত ২০২২ সালে জুলাই মাসে ছিল মাত্র ১৫০০ জন। এ বছর এ পর্যন্ত ৩১৩ জন মানুষ ডেঙ্গুতে মারা গেছে। আক্রান্তও বাড়ছে। আমরা ঢাকায় ৩,০০০টি ডেঙ্গু বেড প্রস্তুত রেখেছিলাম। তার মধ্যে ২,১০০’র মতো ভর্তি হয়ে গেছে। প্রায় ৮০০ বেড খালি থাকলেও ঠিকভাবে মশা কমানো না গেলে ভবিষ্যতে আমাদের আরো বেড প্রস্তুত রাখতে হবে। সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।