আলোচনা সভায় নানক

নির্বাচনে না এলে বিএনপির কবর রচনা হবে

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনে না এলে জনগণ বিএনপির কবর রচনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিনের’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা শেষে দোয়া-মাহফিলের আয়োজন ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব; আপনাদের বলতে চাই, আপনাদের ভুল পথ ত্যাগ করতে হবে। ভুল পথ ত্যাগ করে গণতন্ত্রের পথে, নির্বাচনের পথে যদি না আসেন তাহলে বাংলার জনগণ দেশের মাটিতে আপনাদের কবর রচনা করবে।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা এখন খালি দিনক্ষণ দেয়? শেখ হাসিনাকে উৎখাত করবে? কী কারণে উৎখাত করবেন? ক্ষমতায় থাকতে কী করেছেন বাংলাদেশের জন্য? শুধু রক্তে প্লাবিত করেছেন বাংলাদেশকে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তারেক রহমান হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে, সরকারে ভেতরে আরেক সরকার গঠন করেছিল। লুটপাট-সন্ত্রাসের হেডকোয়ার্টার সৃষ্টি করেছিল।

আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠন করে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের হাত-পা কেটেছে। আওয়ামী লীগ করার অপরাধে চোখ উপড়ে ফেলেছেন। আওয়ামী লীগ যারা করে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছিলে। সেই বিএনপি এখন বলে আইনের শাসনের কথা। শোনায় মানবাধিকারের কথা। যারা ভোট বাক্স ছিনিয়ে নিয়েছে, যারা হ্যাঁ-না ভোট করে একশ’ শতাংশেরও বেশি ভোট নিয়েছিল, তারা বলে এখন গণতন্ত্রের কথা।’

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার উৎখাত করার ষড়যন্ত্র তো শুরু করেছিলেন ২০০৯ সাল থেকে। কিন্তু পারেননি। কারণ বাংলার জনগণের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করছেন। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন। শেখ হাসিনা উড়াল সেতু করেছেন। শেখ হাসিনা মেট্রোরেল করেছেন। শেখ হাসিনা বছরের শুরুতে শিশুদের হাতে হাতে বিনা পয়সায় বই পৌঁছে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সাড়ে সাত কোটি মানুষের বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল আর আজকে ১৭ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ বাংলাদেশ। মাছ উৎপাদনে সার্বিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে নানক বলেন, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের সংগঠন। তার গড়া সংগঠন। এই সংগঠনের পতাকাতলে সমবেত হয়ে সাচ্চা দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ ধরে তোমরা আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসবে। তবেই শেখ রাসেলের আত্মা শান্তি পাবে।

ফজিলাতুন নেছা মুজিবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আগামী দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ঘোষণা দিয়েছেন। আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নতুন স্বপ্ন উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তাই আমাদের সুংগঠিত হতে হবে। আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবো।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কেএম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সাংগঠনিক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন প্রমুখ।