‘সমাজকল্যাণ ব্যবস্থায় বিপ্লব’ নেপথ্যের কারিগর সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

একজন নিরেট দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃণমূল পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি। সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচিত হয়ে লালমনিরহাট জেলার প্রত্যন্ত কালীগঞ্জ উপজেলার মানুষের জন্য তিনযুগেরও অধিককাল কাজ করেছেন। সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারের প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে কাজ করে এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের সমাজকল্যাণ ব্যবস্থায় বিপ্লব নিয়ে এসেছেন। এ সরকার দেশকে উন্নয়নের যে মহাসড়কে উন্নীত করেছেন তাতে এ মন্ত্রণালয় নেপথ্যে কাজ করছে। বিভিন্ন ভাতাভোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধির সঙ্গে ভাতা বিতরণেও মন্ত্রীর হাত ধরে এসেছে শতভাগ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভাতা বিতরণ। ডিজিটাল ডাটাবেজের মাধ্যমে সোয়া কোটিরও অধিক লোককে ভাতা প্রদান উপমহাদেশে একটি দৃষ্টান্ত। ভাতার পাশাপাশি বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান ও অনুদানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করা হয়েছে কয়েক লাখ লোককে। যাদের মধ্যে অসহায়, দুস্থ, বিভিন্ন প্রান্তিক পেশাজীবীরাও রয়েছেন। প্রতিবন্ধী, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নেও মন্ত্রণালয় নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও পুনর্বাসনে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। যার ফল হিসেবে দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে কয়েক কোটি মানুষ। দেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে এ বিপ্লব নীরবে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে সরকার জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল-২০১৫ প্রণয়ন করে। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার-প্রাণীত শিশু আইন-১৯৭৪ যুগোযোগী করে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের আলোকে একে সংস্কার করে শিশু আইন-২০১৩ এবং ২০১৮ সনে আবার একে সংশোধন করে শিশু আইন-২০১৮ নামে রূপান্তরিত করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০১ সনে প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন-২০০১ প্রণয়ন করে এবং ২০১৩ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদের আলোকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ প্রবর্তন করে। পাশাপাশি এ আইনের আওতায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধি-২০১৫ প্রণীত হয়েছে। এছাড়াও নতুন আঙিকে পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন-২০১৩, নিউরো- ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩ এবং এর বিধি-২০১৫ প্রণয়নের পাশাপাশি ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট’ স্থাপন করা হয়েছে। অধিকন্তু মানসিক স্বাস্থ্য আইন-২০১৮ এবং বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ প্রণয়ন ও রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রবীণ ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা-২০১৩ ও জাতীয় প্রবীণ নীতিমালার বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনাও প্রণয়ন করা করা হয়েছে। এমনকি প্রবীণ ব্যক্তিদের ‘সিনিয়র সিটিজেন’ এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবেও স্বীকৃতিদান করা হয়েছে। জনকল্যাণমূলক সেবা খাতগুলোতে বাজেটের আকার ১২ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট ছিল ১ হাজার ১৩ কোটি ৩১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেট ১২ হাজার ২১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বয়স্কভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২০ লাখ প্রবীণ ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিলে ৬০০ কোটি টাকা, যা জনপ্রতি ৬০০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৮.০১ লাখ প্রবীণ ব্যক্তির জন্য বার্ষিক বাজেট উন্নীত হয়েছে ৪২০৫.৯৬ কোটি টাকায়। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের দরিদ্রপ্রবণ ১১২টি উপজেলাকে শতভাগ বয়স্কভাতা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আরো ১৫০টি উপজেলাকে শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ২৬২টি উপজেলায় ভাতা প্রাপ্তির উপযোগী শতভাগ লোক ভাতার আওতায় এসেছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ৯ লাখ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৭০ কোটি টাকা। তা মাথাপিছু মাসিক ৫৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জনের জন্য বাজেট বরাদ্দ ১৭১১.৪০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা। কিন্তু মাথাপিছু ভাতা মাসিক ৮৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৯ লাখ জনের জন্য বাজেট উন্নীত হয়েছে ২৯৭৮.৭১ কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষা-উপবৃত্তি খাতে ১৩ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ১১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ভাতা ভোগীদের পাস বইয়ের মাধ্যমে দেয়া হতো বলে অনেক ভাতাগ্রহীতা প্রাপ্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হতো। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সকল ভাতা ভাতাভোগীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রদানের নিয়ম চালু করা হয়েছে বলে ভাতাভোগীদের প্রাপ্য হিস্যা নিশ্চিত হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ভাতা প্রদানের পাইলট প্রোগ্রাম শুরু করা হয়। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি ভাতাভোগীদের হাতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা বিতরণ শুভ উদ্বোধন করেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য এটি ছিল একটি মাইলফলক অর্জন। যার ফলে বর্তমানে শতভাগ ভাতাভোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে ঘরে বসে নিয়মিতভাবে ভাতা পাচ্ছেন। জিটুপি পদ্ধতিতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ ভাতাভোগী ভাতা পেয়েছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে থেরাপিউটিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় মোট ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করা হয় এবং প্রতিটি কেন্দ্রে অটিজম রিসোর্স সেন্টার চালু রয়েছে। এ সব কেন্দ্রগুলো হতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে থেরাপিউটিক, কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ প্রদান করা প্রতিবন্ধী জরীপ শণাক্তকরণ কর্মসূচির আওতায় ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৪০১ জন (অগাস্ট ২০২৩) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্যসংগ্রহ ও ডাটাবেইজ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে, যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৩৫ জনকে শিক্ষা উপবৃত্তি ও ৩৫৯ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৭৬২ জনকে শিক্ষা উপবৃত্তি, ১ হাজার ৭১ জনকে ভাতা, ৯৫০ জনকে প্রশিক্ষণ ও ১২০ জনকে প্রশিক্ষণ উত্তর সহায়তা দেয়া হয়া হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপকাভোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৫ জন। পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী ও মন্ত্রণালয়ের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান করে স্বাবলম্বি করা হচ্ছে। চা-শ্রমিকদের জন্য সরকারি কোনো সহায়তা ছিল না, চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে খাদ্য ও চিকিৎসা-সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ২০০০ জন উপকারভোগীকে ১ কেটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৬০ হাজার চা-শ্রমিককে জনপ্রতি ৫০০০ টাকা হারে মোট ৩০ কোটি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ক্যান্সার, কিডনি, লিভার-সিরোসিস, জন্মগত হৃদরোগী, প্যারালাইজড ও থ্যালাসেমিয়া-রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি কোনো সহায়তা ছিল না। বর্তমানে এসকল রোগীদের সহায়তার জন্য জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা হারে ৪০ হাজার রোগীকে সুচিকিৎসার জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

অনগ্রসর জনগোষ্ঠী যেমন হিজড়া, বেদে প্রভৃতি অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমও গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে তারা প্রশিক্ষণ, বিশেষভাতা এবং শিশুরা উপবৃত্তি পাচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৬৮৩৬৩ জনকে বিশেষ ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও একালীন অনুদান দেয়া হয়েছে। বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমানোন্নয়নে ২০১২-২০১৩ অর্থবছর থেকে বিশেষ বয়ষ্কভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। শুরুতে বিশেষ বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিলো ২১০০ জন এবং শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তদের সংখা ছিলো ৮৫০ জন। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বিশেষ/বয়স্কভাতা, শিক্ষার্থীদের ৪টি স্তরে শিক্ষা উপবৃত্তি ও আর্থসামাজিক প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণোত্তর সহায়তা প্রদান করা হয়েছে মোট ৯৩১৪ জনকে।বেসরকারি এতিমখানার নিবাসীদের সহায়তা আওতায় ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে ৪৪,৭৬৭ জন এতিমকে জনপ্রতি মাসিক ৭০০ টাকা করে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট প্রদান করা হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ জন এতিমখানা নিবাসীর জন্য মসিক ২০০০ টাকা হারে ২৮০ কোটি টাকা ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রদান করা হয়েছে। পথশিশুদের অধিকার সুরক্ষার জন্য স্থায়ীভাবে ১৩টি শেখ রাসেল প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। গাজীপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, বরগুনা, কক্সবাজার, জামালপুর ও শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় স্থাপিত এ কেন্দ্রসমূহের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত বিপন্ন ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের সেবাপ্রদান করে পরিবার বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পুনঃএকীকরণ/পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হয়। এসব কেন্দ্রে ২০০৯-২০২১ অর্থবছরে থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত ৩১ হাজার ৭৯২ শিশুকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। দরিদ্র রোগীর চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতার জন্য হাসপতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা মহনগরীসহ ৬৪ জেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০৫টি ইউনিট ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ৪২০টি, সবমোট ৫২৫টি ইউনিট কাজ করছে। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট বিনামূল্যে স্থাপনের মাধ্যমে মেধাবী গরিব শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শোনা ও কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এ সাফল্য সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। এ সরকারের একমাত্র লক্ষ্য জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন। তিনি আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে তার প্রতিটি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা চালু করেছিলেন। আজ ভাতাভোগীদের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অসহায় ও দুস্থ জনগণকে উন্নয়নে মূলস্রোতে আনতে এ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সফলতার বিচার উপকারভোগী জনগণ করবেন। আমাদের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারের নির্বাচনি অঙ্গীকার ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রুপকল্প ২০৪১ বাস্তাবায়নে কাজ করে যাওয়া। করোনা অতিমারী চলাকালীন বিশ্ব স্থবির হয়ে থাকলেও এ মন্ত্রণালয় শত প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করে ভাতা প্রদান পদ্ধতি ডিজিটাল করেছে। মানুষ আজ ঘরে বসে ভাতা পাচ্ছে।’