৫০ নম্বরের প্রশ্নপত্র ও পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনরত এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করে আগামী রোববার তাদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। এরপর শিক্ষার্থীরা ওইদিন পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়ে বোর্ডের ফটক থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে ফিরে গেছেন।
গতকাল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যান। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী রাজধানীর বকশিবাজারের জয়নাগ সড়কে অবস্থিত শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। পরে সেখানে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এ সময় তাদের হাতে পরীক্ষা পেছানো এবং ২০২২ সালের মতো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর ৫০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণের দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে যাবেন না বলেও জানান।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে বোর্ডের প্রবেশ ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বোর্ডের ভেতরে চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা অবরুদ্ধে হয়ে পড়েন। জরুরি কাজে বোর্ডে আসা শিক্ষক-কর্মকর্তারাও প্রবেশ করতে না পেরে অনেককে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দুপুর দেড়টার দিকে বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া সংবলিত স্মারকলিপি চেয়ারম্যান বরাবর দিতে অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের চারজনের প্রতিনিধি দলকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে চান।
শিক্ষার্থীরা তাতে রাজি না হলে একপর্যায়ে কর্মকর্তারা চলে যান। পরে পৌনে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেন। বোর্ড চেয়ারম্যান স্মারকলিপি গ্রহণ করে আগামী রোববার তাদের দাবির বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান তাদের স্মারকলিপি নিয়েছেন। তারা স্মারকলিপিতে পরীক্ষা পেছানো এবং ২০২২ সালে যে সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছিল, তেমন সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। রোববার যদি বোর্ড তাদের দাবি পূরণ না করে, আবারও অবরোধ কর্মসূচি করবেন তারা।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিছু দাবি জানিয়েছে। আমরা আলাপ-আলোচনা করে দেখি। এরপর রোববার তাদের আপডেট জানানো হবে।’