দক্ষিণাঞ্চলে সাঙ্গু, মাতামহুরীসহ অন্যান্য নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে উত্তরাঞ্চলের নদনদীর পানি দ্রুত বাড়ায় বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন তথ্য জানিয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদনদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে সুরমা-কুশিয়ারা ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে ওই সময়ে এ অঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর (সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, ভুগাই, কংশ, মনু, খোয়াই) পানির সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে আগামী ২ দিনে এ অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদনদীগুলোর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং আগামী ২ দিনে ধরলা নদী কুড়িগ্রাম ও দুধকুমার নদ পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদনদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে পানির সমতল বেড়েছে ৬৫টিতে,
কমেছে ৩৮টিতে আর অপরিবর্তিত আছে ছয়টি স্টেশনের পানির সমতল।