নিরাপদ সড়ক, তামাক ও মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে জাপা

আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিনিধিদলকে জিএম কাদের

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপদ সড়ক ও মাদক প্রতিরোধে কাজ করছেন এবং আগামীতেও কাজ করবে- এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক যুব দিবসে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের প্রতিনিধি দলের সাথে রাজধানীর বনানীর তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। জিএম কাদের বলেন, মাদক এখন বাংলাদেশের একটি মারাত্মক সমস্যা। মাদকাসক্ত সমাজ জাতির পঙ্গুত্ব বরণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে শহর ছাড়িয়ে এই মাদক গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে গেছে। দেশের ৬৮ হাজার গ্রামের সব গ্রামেই পাওয়া যায় মাদকদ্রব্য। এমন একটি গ্রাম খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, এই গ্রামে মাদকাসক্ত ব্যক্তি নেই। বর্তমান তরুণ সমাজকে মাদক গ্রাস করে ফেলেছে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ সমাজকে পরিত্রাণ করতে হবে।

তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা যে একটি জাতীয় সমস্যা সেটি মেনে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর এই সড়ক দুর্ঘটনার বেশি শিকার হচ্ছে তরুণরা। তাই মাদক ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যেমন প্রয়োজন উপযুক্ত আইন প্রণয়ন তেমনই প্রয়োজন আইনের কঠোর বাস্তবায়ন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যের অন্যান্য দিকগুলো যেমন- তামাক নিয়ন্ত্রণ, মানসিক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত সকল বিষয়ে কাজ করবে জাতীয় পার্টি এবং আসন্ন নির্বাচনি ইশতেহারে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে আশ্বাস দেন তিনি।

আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের পক্ষ থেকে সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা, সদস্য শাহরিয়ার হুসাইন, হাবিবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, আল তানভীর নেওয়াজ এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের পক্ষ থেকে রোড সেফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান, অ্যাডভোকেসি অফিসার (পলিসি) ডা. তাসনিম মেহবুবা বাঁধন ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার অদূত রহমান ইমন সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনি ইশতাহারে নিরাপদ সড়ক, তামাক নিয়ন্ত্রণ, মাদক ও এইচআইভি প্রতিরোধ এবং মানসিক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের নিকট হস্তান্তর করেন।