ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রপ্তানির অপেক্ষায় নতুন জাতের গৌরমতি আম

রপ্তানির অপেক্ষায় নতুন জাতের গৌরমতি আম

লিচুর জন্য বিখ্যাত হলেও বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও এবারে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে দিনাজপুরে। তবে ব্যাপক ফলনের কারণে আমের চাহিদা নেই দেশের বাজারে। তাই আম নিয়ে বিপাকে পড়েছে অনেক বাগান মালিক ব্যবসায়ী। দেশের বাজারে চাহিদা না থাকায় বিদেশে রপ্তানির চেষ্টায় রয়েছেন আমবাগান মালিকরা। ফলে বিদেশে রপ্তানির অপেক্ষায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জের আম বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে নতুন জাতের গৌর মতি আম। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৩২ হাজার ৮৯৬ হেক্টর। এর মধ্যে আম বাগান রয়েছে ৩১২ হেক্টর জমিতে। বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে ২৫ হাজার গৌরমতি আম পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ব্যাগিং করা হয়েছে। সেখানে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার বা বিষ ব্যবহার করা হয়নি। নতুন জাতের গৌরমতি আম পাকার সময় ১৫ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত। তবে এরইমধ্যে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিদেশে আম রপ্তানি শুরু হয়েছে এবং বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে আম রপ্তানির জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। আম বাগান মালিক মরিচা ইউনিয়নের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ২০১৭ সালে ৭৫ শতক জমিতে ১৫০টি গৌরমতি আম গাছের চারা রোপণ করেন। ২০২২ সালে গাছে ব্যাপক হারে ফলন শুরু হয়। তবে এ বছর বাগানে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে ২৫০০০টি আম ব্যাগিং পদ্ধতিতে পরিচর্যা করে বিক্রয়যোগ্য করে তোলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমের কোনো গ্রাহক না পাওয়ায় গাছেই ঝুলে রয়েছে আনুমানিক প্রায় ২০০ মণ আম। দ্রুত যদি রপ্তানি কিংবা বাজারজাত না করা হয় তাহলে গাছেই পচে যেতে পারে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। একই কথা জানিয়ে আম বাগান মানিক মোকারম হোসেন পলাশ জানান, সরকারিভাবে দ্রুত আম রপ্তানির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা না হয় তাহলে আমের পরিচর্চা করতে যে ব্যয় হয়েছে এখন আম যদি না বিক্রি হয় তাহলে আম বাগান মালিকদের পথে নামতে হবে। এখন কৃষি বিভাগ আম রপ্তানি অথবা বিক্রয়ের জন্য দেশে কিংবা বিদেশে যোগাযোগ করেন তাহলে আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পুঁজি ফেরত পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ আকন্দ জানান, বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে ২৫ হাজার গৌরমতি আম পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ব্যাগিং করা হয়েছে। গৌরমতি আমের জাতটি দেরিতে পাকা শুরু করে। ফলে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় বেশ মূল্য পাওয়া যায়। প্রতিটি আমের ওজন ৩০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেখানে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার বা বিষ ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু এ বছরে আমের বাম্পার ফলনের কারণে দেশে-বিদেশে আমের চাহিদা কম থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো গ্রাহক মেলেনি। তবে কৃষি বিভাগ আম রপ্তানি ও স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত