পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে যমুনার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল। বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২/১ দিনের মধ্যে যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এদিকে শাহজাদপুর, চৌহালী ও কাজিপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। অনেক নিচু বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং ডুবে গেছে পাটসহ বিভিন্ন ফসল। এতে বিশেষ করে চরাঞ্চল এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা বাড়ছে। বন্যাকবলিত অনেক পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা এখনো পায়নি উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া যমুনার তীরবর্র্ত অনেক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং শাহজাদপুর ও চৌহালীর ভাঙন থামছে না। অবশ্য ভাঙন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এবার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কাছ থেকে ৭৪০ মেট্রিক টন চাল, ২০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, শিশুদের জন্য ২ লাখ টাকা ও গোখাদ্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের এ বরাদ্দকৃত চাল ও অর্থ বিতরণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।