ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় মানব পাচারকারী চক্র

দুই রোহিঙ্গা দালালসহ ৩৫ জন উদ্ধার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় মানব পাচারকারী চক্র

কক্সবাজার বাসটার্মিনাল শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারীর চক্রের দুই সক্রিয় রোহিঙ্গা সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় পাচারের জন্য জড়ো করা ৩৫ জন রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করা হয়। গত সোমবার রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়। আটক মানব পাচারকারী দলের সদস্যরা হলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এর বাসিন্দা মো. সেলিমের ছেলে জয়নাল (২৫) এবং আব্দুল গফফারের ছেলে মো. জুবায়ের (২৮)। আটক দুই ডাকাত হলেন, আব্দুল আজিজ (৪২) ও সাইফুল ইসলাম (৩২)। বিকাল পৌনে ৪টায় কক্সবাজার মডেল থানা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাচারের জন্য ৩৫ জন রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষকে বাসটার্মিনাল শ্যামলী কাউন্টারে জড়ো করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউল ইসলামের নেতৃত্বে ওই স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারীর চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পালিয়ে যায় আরো বেশ কয়েকজন পাচারকারী। পরে পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা নারী ও শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় পাচারকারী চক্রের সদস্য চট্টগ্রাম সাতকানিয়া ছদাহা বাজালিয়া এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে মো. ফয়সাল (৩০)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আসামিরা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বল্প খরচে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে চাকরির সুযোগ-সুবিধার মিথ্যা প্রলোভন দেখায়। সাধারণ রোহিঙ্গারাও প্রলোভনে পড়ে পাচারের শিকার হচ্ছে। এমন কি পাচারকারীদের নগদ অর্থও দেয়।

আটক জয়নাল ও জুবায়েরের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, আমরা পাচারকারী চক্রটি চিহ্নিত করতে কাজ করছি। তাদের চিহ্নিত করা গেলে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, ১৩ আগস্ট আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার নিয়ে আসা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত