বাবার আক্ষেপ ডা. ছেলে ‘জঙ্গি’

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউপির পোড়াবাড়ি গ্রামে এবার জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়ে পড়লেন ডাক্তার স্বামী ও তার স্ত্রী। তারা হলেন, ওই গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার হেলাল উদ্দিনের ছেলে ডা. সোহেল তানজিম ও তার স্ত্রী মাইশা ইসলাম ওরফে হাফসা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডা. তানজিম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন এবং প্রায় এক বছর ধরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরি করছিলেন। গত রোজার ঈদের সাত দিন পর তিনি তার পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেন এবং তিনি তার নববধূকে নিয়ে ওই হাসপাতালের সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত ২৬ জুলাই থেকে স্বামী-স্ত্রী নিখোঁজ হন। জুলাই মাসের শেষের দিকে ওই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, ডা. তানজিম চার দিন ধরে হাসপাতালে আসেন না। তার বন্ধু ও সহকর্মীরা ফোন দিয়েও পাচ্ছেন না এবং তার স্ত্রীরও ফোন বন্ধ রয়েছে। অবশেষে ৩১ জুলাই তার বাবা এনায়েতপুর থানায় একটি জিডি করেন। পরে তারা জানতে পারেন, গত শনিবার সকালে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট (সিটিটিসি) মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার নির্জন পাহাড়ি এলাকার জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালায়। এ অভিযানে গ্রেপ্তার হন স্ত্রী মাইশাসহ ১৩ জন এবং ওই আস্তানায় তার স্বামী তানজিমও ছিলেন। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ সময় ৩ কেজি বিস্ফোরক, ৫০টি ডেটোনেটর, ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ও জঙ্গি প্রশিক্ষণসামগ্রী উদ্ধার করা হয়। সিটিটিসি বলছে, তারা নতুন জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলার সদস্য। তার বাবা হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তানজিম ওই সংগঠনের জড়িত থাকার সন্দেহে ২০২২ সালে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব-১। আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে চাকরিতে যোগ দেন এবং কাউকে না জানিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। মাইশা নাটোর সদরের চাঁদপুর গ্রামের দুলালের মেয়ে। ছেলের গতিবিধির ওপর বিশেষ নজর রাখা হয় এবং এ নজরে রেখে লাভ হয়নি।