নাটোরের বড়াইগ্রামে ঘরের মাটির দেয়াল চাপা পড়ে আম্বিয়া খাতুন (৫০) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আম্বিয়া খাতুন জালশুকা গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমানের স্ত্রী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক জানান, কয়েক দিন আগে বাড়ির ভিটার জমি মাপ জরিপে আব্দুর রহমানের মাটির দেয়ালের ঘরের মধ্যে কয়েক হাত জায়গা তার সহোদর ভাই পায়। এ কারণে আম্বিয়া খাতুন সেই ঘরের দক্ষিণ পাশের দেয়ালটি শাবল দিয়ে ভেঙে দিচ্ছিলেন। এ সময় আকস্মিক দেয়ালটি ভেঙে তার উপরে পড়ে। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে তার স্বামী পাশের বাজার থেকে বাড়ি ফিরে এসে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্বজনদের সহযোগিতায় মাটির দেয়ালের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
এদিকে নাটোরের বড়াইগ্রামে শিশু সন্তানকে শাসন করায় স্বামীর বকুনী সহ্য করতে না পেরে সুমনা সরকার (২১) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত সোমবার সকালে উপজেলার জোয়াড়ী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুমনা সরকার জোয়াড়ী গ্রামের রিপন সরকারের স্ত্রী।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত রোববার রাতে সুমনা তার শিশু সন্তানকে (৩) রাগের বশবর্তী হয়ে চড়-থাপ্পড় মারেন। বিষয়টি দেখে তার স্বামী তাকে বকাঝকা করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাতের যে কোনো সুমনা ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস নেয়। গত সোমবার সকালে ঘুম থেকে জেগে রিপন তার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।