পাকিস্তানে আবারও বাড়ানো হয়েছে পেট্রলের দাম। নতুন দাম অনুযায়ী এখন দেশটিতে প্রতি লিটার পেট্রল কিনতে হবে ২৯০ দশমিক ৪৫ রুপিতে। আগের দাম থেকে পেট্রলের দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫০ রুপি। অন্যদিকে হাইস্পিড ডিজেল প্রতি লিটার ২০ রুপিরও বেশি বেড়ে হয়েছে ২৯৩ দশমিক ৪০ রুপি। আনোয়ারুল হক কাকার তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরের দিনই জ্বালানির দাম বাড়ানো হলো। গত মঙ্গলবার রাত থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ২০ রুপিরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে। খবর দ্য ডন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সরকার মাত্র ১৫ দিন আগে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করেছিল। ফলে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে প্রতি লিটার জ্বালানির মূল্য ৪০ রুপি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস বলছে গত জুলাই মাস শেষে দেশটিতে শাকসবজিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭.৪৪ শতাংশ, এই হার গত ১৫ মাসের মধ্যে মাসের সর্বোচ্চ। এই মূল্যস্ফীতি সুদের হার নির্ধারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) মধ্যমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে এরকম উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা গিয়েছিল যা ছিল ৭.৭৯ শতাংশ। বাৎসরিক তুল্য-মূল্যে এই মূল্যস্ফীতি ঋণাত্বক থাকলেও শাকসবজিসহ সিরিয়ালের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। আরবিআই সুদের হার না বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ফলে এই মূল্যস্ফীতি হচ্ছে বলে ভারতীয় অর্থনীতিবিদদের অভিমত। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এরই মধ্যে আরবিআই ২০২৪ অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ৫.১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫.৪ শতাংশ করেছে। যার অর্থ নিত্যপণ্যের বাজারদরে কোনো সুখবর আসছে না দেশটির ভোক্তাদের জন্য। আরবিআই ধারণা করছে, ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতি ৫ শতাংশের উপরে থাকবে এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে তা ৬.৩ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে। ভারতের কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স বলছে জুলাই মাসে শুধুমাত্র খাদ্যদ্রব্যে মূল্যস্ফীতির হার ১১.৫১ শতাংশ, যা এক মাস আগেও ছিল ৪.৫৫ শতাংশ।