সুসংবাদ প্রতিদিন

কুমিল্লায় ধুন্দল চাষে কৃষকের হাসি

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কুমিল্লায় সবজি চাষিরা ধুন্দল চাষে লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় হাটবাজারে এই সবজির কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাগান থেকে পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। কৃষকের প্রতি কেজি ধুন্দল উৎপাদনে সব খরচ বাদে ব্যয় হচ্ছে সর্বোচ ১০ টাকা। সরেজমিন জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা গ্রামের কৃষকরা সবজির বাগানে বাঁশের খুঁটি ও সুতার নেট দিয়ে ধুন্দলের মাচা তৈরি করা হয়েছে। এসব মাচায় অসংখ্য ধুন্দল ঝুলছে। সবুজ মাচাজুড়ে ধুন্দলের হলুদ বর্ণের ফুলে ভরে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৬০০ হেক্টর জমিতে ধুন্দলসহ অন্যান্য মৌসুমি সবজির চাষাবাদ করা হয়েছে। স্থানীয়দের প্রতীত জমিতে পুষ্টিবাগান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল শাকসবজি চাষের জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক উদ্যোক্তা জানান, মাটিয়ারা গ্রামে ৭০ শতাংশ জমিতে আগাম ধুন্দলের সাথী ফসল হিসেবে শশা চাষ করেছেন। ধুন্দলের মাচার নিচে সারিবদ্ধভাবে প্রায় ৭ হাজার শশার চারা রোপণ করি। এ পন্থায় ধুন্দলের পাশাপাশি শশা চাষেও সফল হয়েছি। পাইকারের কাছে প্রতি কেজি ধুন্দল ও শশা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন জানান তিনি। কামাল হোসেন বলেন, প্রায় ১০০ শতাংশ জমিতে আগাম ধুন্দলের বাগান করেছেন। দুই দিন পরপর বাগান থেকে ৭০ থেকে ৮০ কেজি ধুন্দল নামছে। এসব ধুন্দল নিমসার বাজার, লালমাই বাজার, পদুয়ার বাজার বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা কিনে নিচ্ছেন। কৃষক মো. মনির হোসেন জানান, তিনি মৌসুমি সবজির আবাদ করেছেন। উৎপাদিত ধুন্দল, ঝিঙা, কচু, লাউ, লালশাক, পুঁইশাক, ডাটা বিক্রি করছেন। বছরজুড়ে সবজি চাষ থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় হচ্ছে জানান তিনি। উপজেলা কৃষি কৃষি কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, সদর দক্ষিণে প্রচুর পরিমাণে ধুন্দল ও করলা শষা চাষ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর করলা ও ধুন্দলের ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজার দাম ভালো পেয়ে কৃষক খুশি।