নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ টেক্সটাইল এলাকায় ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর বিক্ষোভ মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুর করার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শামসুল আরেফিনের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মামলায় ৪৬ আসামির মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, বায়েজিদ বোস্তামী থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.ফরহাদ হোসেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানা জামায়াতের সাবেক আমির ঈসমাইল হোসেন সিরাজী, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.বেলাল, সাধারণ সম্পাদক মামুন আলম, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আবুল কালাম আবু, আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্র্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ হোসেন প্রমুখ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, শেরশাহ টেক্সটাইল এলাকায় ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর রাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি-জামায়াত। এ সময় মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানার ককটেল বিস্ফোরণ-গাড়ি ভাঙচুর করার মামলার আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল। আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করা হয়। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।