জামালপুরে স্ত্রীর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী প্রেমানন্দ ক্ষত্রিয় শুভনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। মামলা সুত্রে জানা যায়, প্রেমানন্দ ক্ষত্রিয় শুভন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের ইয়াসমিন আক্তার নামে এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে ২০১৫ সালে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই শুভন স্ত্রী ইয়াসমিনকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। এ কলহের জেরে ধরে ২০২০ সালের ১ জুলাই রাতে স্ত্রী ইয়াসমিনের গায়ে পেট্রল ঢেলে সিলিন্ডার গ্যাসের জলন্ত চুলার ওপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শুভন। এতে সারা শরীরে আগুন লেগে দগ্ধ হলে ইয়াসমিনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জুলাই মারা যান ইয়াসমিন। এ বিষয়ে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ইয়াসমিনের বড় বোন হাজেরা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের ভিত্তিতে আসামি প্রেমানন্দ শুভনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ প্রসঙ্গে মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. দিদারুল ইসলাম জানান, এই মামলায় প্রকৃতপক্ষে কোনো প্রকার প্রত্যক্ষদর্শী নেই। আমরা এই মামলায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা উচ্চ আদালতে আশ্রয় নেব। উল্লেখ, নিহত ইয়াসমিন আক্তারের বাড়ি নেত্রকোনায় এবং শুভনের বাড়ি ময়মনসিংহে। চাকরি সূত্র ধরে তারা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
