কাঁচা হলুদের উপকার
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
নিত্যদিনের রান্নায় ব্যবহৃত একটি মশলা হলুদ। এছাড়া নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে এটি। বিশেষ করে সকালে খুব থেকে উঠে যদি এক টুকরো কাঁচা হলুদ খান তবে শরীরে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। রোগ-ব্যাধি কাছেই ঘেঁষবে না। জানুন কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে।
প্রদাহের খেলা হবে শেষ : প্রদাহের মতো জটিল সমস্যার বিরুদ্ধে প্রথমেই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে সময় লাগবে না। এমনকি এই কারণে শরীরে বাসা করতে পারে একাধিক ক্রনিক রোগ। তাই চিকিৎসকরা সমাবেতভাবে প্রদাহ প্রশমিত করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কাঁচা হলুদ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কাঁচা হলুদের মূল উপাদান কারকিউমিন প্রদাহ প্রশমিত করার কাজে সিদ্ধহস্ত।
ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যাবে : বিপাকের পরে আমাদের শরীরে তৈরি হয় একাধিক ক্ষতিকর পদার্থ। আর এই পদার্থগুলো শরীর থেকে বেরিয়ে না যেতে পারলেই সমস্যা তৈরি হয়। একাধিক রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। তবে ভালো খবর, শরীরের এই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কাটানোর কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাঁচা হলুদ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই প্রাকৃতিক উপাদান রোজ এক টুকরো খেয়ে নিলেই ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলস নিউট্রিলাইজ করা সম্ভব হবে। তাই সুস্থ থাকতে কাল থেকেই কাঁচা হলুদ খান।
হার্টের হাল ফিরবে : কম বয়সেই অনেকে হার্টের জটিল অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই চিকিৎসকরা সবাইকে হৃৎপি-ের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আপনার হাতের কাছে উপস্থিত এক টুকরা কাঁচা হলুদই হার্টের খেয়াল রাখার কাজে একাই একশ। হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদান হার্টের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে। তাই হার্ট অ্যাটাকের ফাঁদ এড়াতে চাইলে রোজ সকালে কাঁচা হলুদ খাওয়া প্রয়োজন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী একটি অসুখকে যেনতেন প্রকারে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই নিরোগ জীবন কাটানো সম্ভব। তবে চিন্তা নেই, এই কাজে আপনার সহযোদ্ধা হতে পারে কাঁচা হলুদ। এতে এমন কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। তাই এই মারণ রোগের খপ্পরে পড়তে না চাইলে এবার থেকে কাঁচা হলুদ খাওয়া চালু করুন।
পিছু নিতে পারবে না অ্যালঝাইমার্স : অ্যালঝাইমার্স একটি জটিল অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তিনি সবকিছু ভুলতে শুরু করেন। তবে ভালো খবর হলো, এহেন জটিল অসুখ প্রতিরোধের কাজেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাঁচা হলুদ। তাই আগামীকাল থেকেই কাঁচা হলুদ খাওয়া চালু করে দিন। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।