স্বাধীনতাবিরোধীদের মনে মৃত্যু ভয় ঢুকে গেছে
বললেন নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, মির্জা ফখরুলের মনে মৃত্যুর ভয় ঢুকে গেছে। যারা স্বাধীনতাবিরোধী রয়েছে তাদের মনে মৃত্যু ভয় ঢুকে গেছে। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে হাজির হবেন ভোট কেন্দ্রে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, দুঃস্বপ্ন দেখার চিন্তাভাবনা বাদ দিতে হবে। এ দেশে থাকতে হলে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মানতে হবে, ইস্তেহার মানতে হবে, স্বাধীনতার ঘোষণা মানতে হবে। তার পরেই এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ আছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে কোনো সুযোগ নেই। গতকাল শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাব আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। জিয়াউর রহমান সংবিধান পাল্টাতে পারে নাই উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান চালুর করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারে নাই। যাদের বাবা সংবিধান পাল্টাতে পারে নাই। আজ তার সন্তানরা বলছে- বাংলাদেশের সংবিধান পাল্টে ফেলবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে তিনি আজ পুরো পৃথিবীতে অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আবার কোনো চক্রান্ত করা হলে, সেই হাত আমরা উপড়ে ফেলে দেব। সেই হাত ভেঙে দেব। জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে সান্ধ্য আইন চালু করেছিলেন। তার সান্ধ্য আইনের কারণে সাধারণ জনগণ রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হতে পারতেন না। অথচ তারা আজ আমাদের গণতন্ত্র শিখতে বলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষরা কি মরে গেছে? এবিএম মুসা, গফ্ফার চৌধুরীর উত্তরসূরিরা কি মরে গেছে? মরে যায় নাই। এখনও কলম আছে। এখনও কলমের কালি শুকিয়ে যায়নি। এখনও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গর্জে উঠে। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, মির্জা ফখরুলের মনে মৃত্যু ভয় ঢুকে গেছে। যারা স্বাধীনতাবিরোধী রয়েছে তাদের মনে মৃত্যু ভয় ঢুকে গেছে। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে হাজির হবেন ভোট কেন্দ্রে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন- কয়েকজন মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, আপনি এত হাসি-খুশি থাকি কেমনে। জবাবে তিনি বলেছিলেন, আমরা দিবালোকের মতো দেখতে পাচ্ছি যে, আমরা ক্ষমতায় আসতেছি। কিন্তু ঢাকার মানুষকে মির্জা ফখরুলকে ভালোভাবে চিনে না। তিনি তো ২০০৯ সালে ঢাকায় রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমরা তাকে ভালো করে চিনি। মির্জা ফখরুলকে চিনি দিনাজপুরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেরিয়েছিলেন, নাটক আবৃত্তি করেছেন। মির্জা ফখরুলের বাবা চোখা মিয়া একজন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। ঠাকুরগাঁওয়ের সবচেয়ে কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর মির্জা ফখরুল বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন করছিলেন। তার বাবা স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত চোখা মিয়া বাড়ি থেকে বের হননি। ৩ বছর তাকে বাইরে দেখা যায়নি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার পর চোখা মিয়া লুঙ্গি পড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিয়েছিলেন। দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর-১ আসনের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুম, সিভিল সার্জন ডা. বোরহান-উল সিদ্দিকী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামীম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল। এর আগে দিনাজপুর প্রেসক্লাব চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ও মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।