বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো দিকে পথ নেই, উত্তরে উচ্চাঙ্গ পর্বতমালা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, কোনো দিকে ওদের যাওয়ার আর পথ নেই। আর কোনো সময় নেই। মান সম্মানে এখনই পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, নতুন নির্বাচন কমিশন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। গতকাল শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দয়াগঞ্জ থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে সায়েদাবাদ ব্রিজ, ধলপুর কমিউনিটি সেন্টার, গোলাপবাগ, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির হয়ে খিলগাঁও এসে শেষ হয় মিছিলটি। গণমিছিলে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সারা দেশ কারাগারে পরিণত করেছে। ভয়ে আওয়ামী লীগের মুখ শুকিয়ে গেছে। এজন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করছে। শেখ হাসিনা এখন নতুন নতুন কাপড় পরা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা যে টাকা পাচার করেছে তা নিয়ে চিন্তায় আছে। অবস্থা এখন আরো খারাপ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। ২৯ জুলাই আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হায়েনার মতো তারা আক্রমণ করেছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। তিনি বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক, ভোটের, কথা বলার, বাঁচার অধিকার দাও। তেল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম কমাও। এটাই আমাদের দাবি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ লুটপাট করে সব শেষ করে দিয়ে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। এদের না সরাতে পারলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। জনগণ উত্তাল আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারকে সুনামির মতো নিশ্চিহ্ন করে দিবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সংবিধানের দোহাই দেয় কোন সংবিধান? বৈধ সংবিধান না এটা। আপনারা পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একটি কথাই বলা যায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তার অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। আমাদের অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার তা আমাদের উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভারত যদি আবার ১৪ সালের মতো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চায়, তাহলে এদেশের ১৮ কোটি জনগণ এবার ছাড়বে না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে গণমিছিলপূর্বক সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্মণ্ড মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।