বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ভারত ও ভিয়েতনামের মতো সম্ভাবনাময়, যেখানে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ কাম্য বলে মনে করছে বহুজাতিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান- এইচএসবিসি হোল্ডিং পিএলসি। সংস্থাটি মনে করে, ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও বিদেশি বিনিয়োগ এখানে করপোরেট আয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আরো বেশি মনোযোগের দাবি রাখে। এইচএসবিসি হোল্ডিং পিএলসির লেখক হেরাল্ড ভ্যান ডার লিন্ডে ও গর্গের একটি নিবন্ধের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ। গত ১৬ আগস্ট এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রধান ভোক্তা বাজারে পরিণত হওয়ার পথে আছে। সেখানে মানুষের দৈনিক আয় ভিয়েতনামের তুলনায় অন্তত ২০ ডলার বেশি হবে। এছাড়া বাংলাদেশে আকর্ষণীয় মূলধনী মুনাফার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগামী ৩ বছরে ২০ শতাংশ পর্যন্ত পেতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আভাস অনুসারে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে ৭ শতাংশ হতে পারে, যা এশিয়ার দ্রুততম প্রসারিত দেশগুলোর মধ্যে একটি। গত একদশকে মোট দেশীয় পণ্য বৃদ্ধির গড় ৬ শতাংশের বেশি এবং মাথাপিছু জিডিপি সম্প্রতি ভারতের ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্প্রতি মুদ্রার অবাধ বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করে। এতে ব্যবসায়ীদের উপকার হবে। এছাড়া দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের নিকট থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সীমাবদ্ধতা, অস্থির মুদ্রা ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতসহ একাধিক ঝুঁকির সম্মুখীন। এছাড়া দেশের পুঁজিবাজারও ছোট। ব্লুমবার্গের তথ্যে- ৪৫০ টিরও কম কোম্পানি বহন করে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রড ইনডেক্স ২০২২ সালে ৮ শতাংশ পতনের পর এ বছর ১ শতাংশ এর কম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দেশের ব্যাংকগুলোকে অবকাঠামো ও কারখানাগুলোতে উচ্চ ব্যয়ের কারণে ক্রমবর্ধমান ঋণ বৃদ্ধি থেকে লাভবান হওয়া উচিত।