আইডিয়ালের সেই ছাত্রীকে বাবার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ৬০ বছর বয়সি খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের ছাত্রীকে বাবার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অভিযুক্ত মুশতাককে আগাম জামিন দেন আদালত। বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেদিন আদালত বলেন, আইডিয়ালের ছাত্রীর বয়স নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তাই ওই ছাত্রীর বয়স নির্ধারণ করা জরুরি। বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ভিকটিম ছাত্রী নারী ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে সেইফ হোমে (নিরাপদ হেফাজতে) থাকবে। তবে ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। এর আগে হাইকোর্ট আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদ, আইডিয়ালের ছাত্রী ও তার বাবার বক্তব্য শোনেন। আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন। ১৬ আগস্ট এ মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদের জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ। বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অপারগতা প্রকাশ করে জামিন আবেদনটি ফেরত দেন। গত ১ আগস্ট কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অন্য আসামি হলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী। ওই ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।