যশোরে ৪ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। মাঠের পর মাঠ সবুজের সমারোহ নজর কাড়ছে সবার। উচ্চ ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় আগাম সবজি চাষ করে এবার লাভবান হয়েছেন কৃষক। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, সময়োপযোগী আবহাওয়া আগাম শীতকালীন সবজি চাষিদের জন্য আর্শিবাদ হয়েছে। যে কারণে ফলন হয়েছে বাম্পার। যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, যশোরে ৪ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আগাম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে চাষ করেছেন চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের চাষিরা। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, হৈবতপুর ইউনিয়নে ২ হাজার ৪৩২ হেক্টর, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে ১ হাজার ২৬ হেক্টর ও কাশিমপুর ইউনিয়নে ৮৬৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে। বর্তমানে শীতকালীন আগাম সবজি আবাদ চলছে পুরোদমে। নানা ধরনের সবজি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যশোরের সবজি ছড়িয়ে পড়ছে দেশ বিদেশে। সবজি রাজ্যখ্যাত যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের মাঠগুলোয় শীতকালীন সবজির সমারোহ চলছে। যেদিকে নজর যায় সেদিকেই দেখা মিলছে নানা প্রকারের সবজি ক্ষেত। এর মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, পটোল, মূলা উল্লেখযোগ্য। সরেজমিন দেখা গেছে, চুড়ামনকাটি, আব্দুলপুর হৈবতপুর, তীরেরহাট, মানিকদিহি, মথুরাপুর, শাহাবাজপুর, মুরাদগড়, কাশিমপুর, বিজয়নগর, দৌলতদিহি, বালিয়াডাঙ্গা, বেনেয়ালী, ডহেরপাড়া, লাউখালীর মাঠে শীতকালীন আগাম চাষে ভরে রয়েছে। সবজি চাষে বদলে গেছে মাঠের দৃশ্যপট। সবজি চাষি জামাল উদ্দিন, মিন্টু মিয়া, শহিদুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, বেশি দাম পাওয়ার আশায় তারা আগাম শীতকালীন সবজির চাষ করেন। সবজি চাষ করে গতবার বৃষ্টিপাতের কারণে আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু এবার সময়োপযোগী আবহাওয়া ও পরিমাণ মতো বৃষ্টির কারণে সবজিতে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এবার তারা আর্থিক লাভবান হবেন। যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, যশোর সবজির জেলা হিসেবে সারা দেশে পরিচিত। প্রতি বছর এখানে দুই মৌসুমে সবজির আবাদ হয়। একটা হলো আগাম শীতকালীন সবজি চাষ ও আরেকটি শীতের ভরা মৌসুমে সবজির চাষ। এবার আগাম সবজি চাষের সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিদের ভাগ্য খুলেছে। তিনি জানান, শীতের ভরা মৌসুমে সবজি চাষের পরিমাণ আরো বাড়বে।