ভাজা খাবার বন্ধে উপকার

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পরিশোধিত তেল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অথচ সব রকম ভাজাপোড়ার জন্য এই তেলই ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের খাবার মাসখানেক না খেলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়বে? বাঙালি রান্না মানেই তার মধ্যে তেল থাকবে। লবণ, ঝাল ও কাঁচা সর্ষের তেল ছাড়া সেদ্ধ খাবারও খেতে পারেন না অনেকে। আবার স্বাস্থ্য সচেতনেরা সালাদ খেলেও ওপরে একটু অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দেন। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সবাই বলেন, দিনে চার থেকে পাঁচ টেবিল চামচের বেশি তেল না খেতে। কিন্তু সে সীমা প্রায় প্রতিদিনই পেরিয়ে যায়। সপ্তাহাজুড়ে পরোটা, মাছ, তেলে ভরা মাংসের ঝোল- ফলে সমস্যা বাড়তেই থাকে। অনেকেই মনে করেন, সর্ষের তেলের চেয়ে রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেল বেশি ক্ষতিকর। সেই কথা ভেবে হঠাৎ যদি মাসখানেকের জন্য ভাজাপোড়া খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে শরীরে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে?

হৃদযন্ত্র : যেসব তেলে ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি, সেই তেল নিয়মিত খেলে হৃদযন্ত্রের সমস্যা বাড়তে বাধ্য। তাই এক মাস টানা তেল খাওয়া বন্ধ রাখলে কোলেস্টেরলসহ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যায়।

ওজন : ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে শরীরচর্চার পাশাপাশি ক্যালোরির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সারা সপ্তাহ ভাত, রুটি বন্ধ করে যদি সপ্তাহাজুড়ে অনেকটা ভাজা খাবার খান, তাতে লাভ কিছুই হবে না। কারণ, পরিশোধিত তেলে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটাই বেশি।

রক্তে শর্করার মাত্রা : মিষ্টিজাতীয় খাবার খান না, তাই ভাজা খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রায় কোনো প্রভাব পড়বে না, এমনটা ভেবে নেন অনেকেই। পরিশোধিত তেল খাওয়া বন্ধ করলে হঠাৎ পরিবর্তন আসবে না। তবে ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।

ত্বকের স্বাস্থ্য : বাইরে থেকে প্রসাধনী ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা যায় কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু ভেতর থেকে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে গেলে প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন হতে দেওয়া চলবে না। সেক্ষেত্রে তেল খাওয়া বন্ধ করা জরুরি।

হজমের উন্নতি : সাধারণ বাড়ির খাবার খেয়ে বদহজম হচ্ছে। এদিকে রাস্তায়, অফিসে যে জমিয়ে চপ-শিঙাড়া খেয়েছেন, সে কথা ভুলেই গিয়েছেন। হজমের ওষুধ খেলে অমøতাণ্ডঅ্যাসিডিটি কমবে। কিন্তু এই ধরনের ওষুধ তো নিয়মিত খাওয়া ঠিক নয়। তাই পুষ্টিবিদরা বলেছেন, তেল বাদ দিতে হবে। তা হলেই হজমে উন্নতি হবে।