অভূতপূর্ব উন্নয়নে বদলে গেল গাজীপুর বাস ডিপো!

বিআরটিসির চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ও পরামর্শ

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  গাজীপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. তাজুল ইসলাম ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে আধুনিক স্মার্ট বিআরটিসি গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে বিআরটিসির তথা গাজীপুর বাস ডিপোর ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে গাজীপুর বাস ডিপোর মূলফটকটি দীর্ঘদিনের পুরাতন ও দৃষ্টিকটু অবস্থায় ছিল, বাইরের জনসাধারণের কাছে জানা ছিল না যে গাজীপুরে এত বৃহৎ একটি বাস ডিপো রয়েছে। প্রধান মূলফটকটি ডিজিলাইজডকরণের মাধ্যমে ডিপোর সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি জনসাধারণের কাছে এর পরিচিতি বেড়েছে। এছাড়াও তিনি ডিপোর অভ্যন্তরে অফিস ভবনের পাশে অবস্থিত পুকুরটি সৌন্দর্য বর্ধন ও কর্মকর্তা কর্মচারীসহ বাইরের প্রতিষ্ঠান থেকে আগত ব্যক্তিবর্গের মনোরম পরিবেশ তৈরির জন্য পুকুরটির আঙিনা সংস্কার, মাটি ভরাট করে চারপাশে বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। গাজীপুর বাস ডিপোর জ্বালানি ব্যয় সংকোচনের জন্য দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত ও বন্ধ থাকা ডিজেল পাম্পটি পুনরায় চালু করেছেন। ডিপোর অভ্যন্তরের বাস পাকিংয়ের জায়গা এবং গাড়ি মেরামতের র‌্যামটি খুবই বেহাল অবস্থায় ছিল, যা বর্তমান চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশে বেহাল অবস্থা থেকে সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্য বর্ধন করেছেন। ডিপোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উন্নত কর্মপরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাপ্তরিক চেয়ার টেবিলসহ অফিস আসবাবপত্রে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আগে নারী ও পুরুষদের একসঙ্গে একই কক্ষে বসে অফিস করতে হতো, বর্তমান চেয়ারম্যান যোগদানের পর থেকে নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মপরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে বিআরটিসি তথা গাজীপুর বাস ডিপোতে নারী কর্মীদের জন্য পৃথক অফিস কক্ষ ও পৃথক মহিলা ওয়াশরুম নির্মাণ করে দিয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে আর্টিকুলেটেড জরাজীর্ণ বাসগুলোর বেহাল অবস্থা দেখে সময়োপযোগী সঠিক পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, দীর্ঘদিনের বন্ধ থাকা সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানাটি জরাজীর্ণ আর্টিকুলেটেড বাসের মেরামত কাজ দিয়েই চালু করেন। দক্ষ কারিগর দ্বারা পুরাতন জরাজীর্ণ বাসগুলো মেরামত করেন। যার কারণে আজ গাজীপুর বাসডিপো লাভজনক ডিপোতে পরিণত হয়েছে। স্মার্ট বিআরটিসির তৈরির লক্ষ্যে বিআরটিসি প্রত্যকটি বাসে একই সঙ্গে গাজীপুর বাস ডিপোর প্রত্যকটি গাড়িতে ভিটিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ির সার্বক্ষণিক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ডিপোর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ডিপোর অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা সংযোগ স্থাপন করে ডিপোর সব কর্মকাণ্ড প্রধান কার্যালয় হতে মনিটরিং করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সর্বোপরি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের গাজীপুর বাস ডিপোর সার্বিকভাবে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।