ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

বগুড়ায় কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে

বগুড়ায় কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে

বগুড়ায় কৃষকরা ধান, মাছ ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি কলা চাষে আগ্রহী বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে। কম খরচে বেশি লাভের আশায় কলা চাষ দিন দিন এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর ফলে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও এসেছে তাদের। বগুড়া জেলার মাটি দোআঁশ ও বেলে দোঁআশ হওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদের ক্ষেত্রে ধান আবাদকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তারা এখন পুরোনো ধ্যান-ধারণা পাল্টে লাভজনক ফসল হিসেবে কলা চাষের ওপর ঝুঁকে পড়ছেন। বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে কলা গাছের বাগান ছিল না। কিন্তু এখন বাণিজ্যিকভাবে গাছের বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন উপজেলার কৃষক। তবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখনো জমির আঁইলে, পুকুর পাড়ে, বাঁশঝাড়ে অমৃত সাগর, সবরি অনুপম, চাম্পা, নেপালি, মানিকসহ বিভিন্ন জাতের কলা বাগান করে চাষ করছে কৃষকরা। জেলার একাধিক কলা চাষিরা জানান, এক একর জমিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করলে তাদের আবাদি কলা বিক্রি হয়ে থাকে এবং তা থেকে হাজার হাজার টাকা আয় করা যায়। ভাইরাসজনিত রোগবালাই ও মৌসুমি ঝড় কলা গাছের প্রধান শক্র। তবে এবার কলার ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। একই সঙ্গে দামও গতবারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। বর্তমানে জেলার বগুড়া সদর, আদমদিঘী, গাবতলী, সোনাতলা, কাহালু, শেরপুর, ধুনট, শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কলার চাষ হচ্ছে। কলা চাষ করে জেলার অনেক কৃষক আজ স্বাবলম্বী। আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের শালগ্রামের বাসিন্দা সোহেল জানান, তার বাড়ির পাশে প্রায় দেড় বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছেন। তার কলা বাগান থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার কলা বিক্রি করবে বলে সে আশা প্রকাশ করেন। জেলা কৃষি অফিসার জানান, আগের তুলনায় বগুড়া জেলায় এখন কলা চাষের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। বর্তমানে সাধারণ ও বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করা হচ্ছে। সরকারিভাবে কৃষি অফিসের মাধ্যমে জনসাধারণকে কলা চাষের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, একই জমিতে কলা চাষের ফাঁকে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদও করা যায় এবং কৃষকরা যাতে বেশ লাভবান হয় সে ব্যাপারে কৃষি অফিসের পক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত