তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম

নদীপাড়ের মানুষের আতঙ্কে কাটছে দিন

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নীলফামারী প্রতিনিধি

গজল ডোবা আর উজানের পাহাড়ি ঢলে এবং ঘনঘন বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি আবারো বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গত শুক্রবার সকাল ৬টায় নীলফামারী ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল পানি কিছুটা কমে সকাল ৯টায় ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে জানান পওর বিভাগ। পানির এরকম রূপ ধারণে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, টেপাখরি বাড়ি, খগাখরি বাড়ি, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের নিম্ন অঞ্চলগুলো বন্যার পানিতে ডুবুডুবু। চরম আতঙ্কে দিনযাপন করছেন তিস্তা পাড়ের ওইসব অঞ্চলের মানুষ। ডালিয়া পওর বিভাগের নুরুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তিস্তার পানি থেকে থেকে কমছে আর বাড়ছে। ডিমলা তিস্তা চরাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নের বাড়িঘরে পানি টইটম্বুর। এতে চরম আতঙ্কে রাত্রিযাপন করছে শতশত পানিবন্দি মানুষ।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝারশিঙ্গেশ্বর এলাকার মেম্বার বদিউজ্জামান বদি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, তিস্তার পানির কারণে এই কয়েকদিনে অনেক জমিনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। নদীতে বিলীন হয়েছে অনেক জমিন। টেপাখরি বাড়ি ইউনিয়নের চরখরি বাড়ি এলাকার জাহানারা বলেন, বাড়িতে পানি ঢোকার জন্য রাতে ঘুমাতে পারি না। কয়েকদিন ধরে চুলোয় আগুন জ্বালাতে পারিনি, বাড়িতে শুকনো চিড়া-মুড়ি দিয়ে দিন পার করছি।

খগাখরি বাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুক্রবার রাত থেকে তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নিম্ন অঞ্চলগুলো। আমরা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি এবং বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফউদ্দৌলা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে এবং পওর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সজাগ থাকতে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার কথা বলা হয়েছে। নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, গতকাল তিস্তার বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলোর বিষয়ে ডিমলা উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে, বন্যাকবলিত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এবং বন্যা বিষয়ে প্রশাসন সর্বক্ষণ সতর্ক রয়েছে।