কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩ ঘণ্টার যৌথ টহল চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৭০ সদস্য। গতকাল দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বালুখালীর ৮ নম্বর (পশ্চিম) ক্যাম্পে চলে এই যৌথ টহল। যেখানে ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া এপিবিএন এর ৩টি ব্যাটালিয়নের ৩ শত সদস্য, জেলা পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের ৪০ জন করে ১২০ জন সদস্য, আনসার বাহিনীর ৫০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন-এর সহ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার সাইফুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৩ ঘণ্টার টহলে ক্যাম্পের আশপাশে ঘুরে দেখা হয়। বিভিন্ন সময় এ ধরনের টহল অনুষ্ঠিত হবে। মূলত ক্যাম্পের নিরাপত্তা জোরদার করতে বিভিন্ন সময় যৌথ অভিযান পরিচালনার একটি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে টহলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ এপিবিএন অধিনায়ক ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, গত বুধবার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা একটি সভা করেছেন। যেখানে ১২টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে নিয়মিত যৌথ টহল ও বিশেষ অভিযান পরিচালনার একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে। যার আলোকে গতকাল শনিবার যৌথ টহল অনুষ্ঠিত হলো।
২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকটের ৬ বছর হয়েছে। এই ৬ বছরে কক্সবাজার জেলা পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট পর্যন্ত ১১ ধরনের অপরাধে ৩ হাজার ২০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি সংখ্যা ৬ হাজার ৮৩৭ জন। যেখানে ১৬৪টি হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৩১টি। যেখানে আসামির সংখ্যা ৯৯১ জন। এছাড়া ২৩৮টি অস্ত্র মামলায় আসামির সংখ্যা ৫৫২ জন, ২ হাজার ৫৭টি মাদক মামলায় আসামির সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৯ জন, ৯৪টি ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টায় মামলায় আসামির সংখ্যা ১৪৪টি, ৪২টি ফরেনার্স অ্যাক্ট মামলায় আসামির সংখ্যা ১০৪ জন, ৪৪টি অপহরণ মামলায় আসামির সংখ্যা ২২২ জন, ৬৫টি বিশেষ ক্ষমতা আইন মামলায় আসামির সংখ্যা ১৩৩ জন, ৭টি পুলিশ আক্রান্ত মামলায় আসামির সংখ্যা ৭৭ জন, ৬২টি ডাকাতি ও ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় আসামির সংখ্যা ৫০৫ জন, ৩৭টি মানবপাচার মামলায় আসামির সংখ্যা ১৮৯ জন ও ২৪৩টি অন্যান্য মামলায় আসামির সংখ্যা ৯৪১ জন।