নির্বাক পরশ

যুবলীগের দুই গ্রুপের মারামারি আহত তিন

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘১৫ ও ২১ আগস্টের শহিদদের স্মরণে’ আলোচনা সভায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং চেয়ার ছুড়ে মারামারি হয়েছে। এতে আহত হয়েছে তিনজন। গতকাল রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারামারির সময় নির্বাক তাকিয়ে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল তখনো এসে উপস্থিত হননি। ছোড়াছুড়ির ঘটনায় অন্যান্য এলাকা থেকে আগত নেতাকর্মীদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, আলোচনা সভায় দক্ষিণ যুবলীগের নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় রাজধানীর মতিঝিলের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের পৃথক দুইটি মিছিল একসঙ্গে মাঠে প্রবেশ করে। হঠাৎ চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতি শুরু হয়। যুবলীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা মঞ্চ থেকে বারবার তাদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানালেও হাতাহাতি চলছিল। প্রায় ১০ মিনিট পর জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা গেছে, মতিঝিলের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল হোসেনের অনুসারীদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডে বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি নূর ইসলাম নূরুর অনুসারীরা এই বিশৃঙ্খলা করে। এক পর্যায়ে দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা মঞ্চ থেকে নেমে আসেন। আহতদের শান্ত¡না দেন তিনি।

চেয়ার ছোড়াছুড়ি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নূর ইসলাম নূরু বলেন, ক্যাসিনো মামলার আসামি জামাল ও তার গ্রুপের লোকজন আজকে সমাবেশে এসেছে বিশৃঙ্খলা করার উদ্দেশ্যে। ৯নং ওয়ার্ডে আমরা যারা আজকে এই আলোচনা সভায় এসেছি, তাদের উপরে অতর্কিত হামলা করেছে জামালের লোকজন। জামালের সঙ্গে না থাকলে গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে, সে। আমাদের ৫টা মোবাইল ও টাকা ভর্তি তিনটা মানিব্যাগ নিয়ে গেছে জামালের লোকজন।

অভিযোগের বিষয়ে জামাল বলেন, নুরু হচ্ছে সাবেক যুবদল নেতা। তাকে কয়েক দিন আগে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার লোকজন প্রথমে হামলা করেছে। জামাল আগে ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন।