দিনাজপুরের বীরগঞ্জে চাকরির প্রলোভন দিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাফহিমুল হোসাইন নামে প্রতারক চক্রের মূলহোতাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে সুজালপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে খাজিদা ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
তাফহিমুল হোসেন ঠাকুরগাঁও জেলার হারিপুর উপজেলার বহরামপুর গ্রামের ইরফান আলীর ছেলে। তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী সাংবাদিকদের বলেন, প্রতারক তার নাম ঠিকানা গোপন করে যত্রতত্র অপকর্মে লিপ্ত ছিল।
প্রতারক নিজেও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য বলে স্বীকার করেছে। প্রাথমিকভাবে প্রতারক চক্রের মূলহোতার নাম পরিচয় সঠিক কিনা সন্দেহ রয়েছে। প্রতারণার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, মনোয়ার হোসেন ও আল মামুন নামের দু’জনের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে বীরগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে খাতিজা ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্যসেবা নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতাকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, সে বিভিন্ন সময় নাম পরিচয় গোপন করে একের পর এক প্রতারণা ও জালিয়াতি করে আসছিল। সে চাকরি দেওয়ার নাম করে অন্তত ৬৩ জন যুবক-যুবতীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাফহিমুলের বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় তিনটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসাবে পলাতক থাকার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে অনেক প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মামলা রয়েছে বলে সে নিজেই স্বীকার করেছে। তিনি আরো বলেন, যেহেতু প্রতারক হরিপুর থানার মোস্টওয়ান্টেট আসামি, বার্তা প্রেরণ করেছি সেখানকার পুলিশ এসে তাকে সেখানেই নিয়ে যাবে। প্রতারককে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আনা হলে, সে সময় সহকারী কমিশনার ভূমি রাজকুমার বিশ্বাসসহ অভিযোগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
