হাইকোর্ট

ঢাবি শিক্ষক রহমত উল্লাহর অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তিনি সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা গতকাল বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল।

অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন জানান, রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট গতকাল রায় দিয়েছেন। তাই ড. মো. রহমত উল্লাহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে বক্তব্য দেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিতের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে দ্রুত রুল শুনানির নির্দেশ দেন। বিচারপতি মো. বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। গত বছরের ৮ জুন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। তার আগে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি ওই বক্তব্য দেন। এর পর তাকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ঢাবি প্রশাসন। সেখানে অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাকের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানোর পর খন্দকার মোশতাকের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেও বক্তব্য দেন তিনি। পরে আলোচনা শেষে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্যের বিতর্কিত অংশ এক্সপাঞ্জ করেন। পরে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ। তিনি খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোয় ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ছিল অনিচ্ছাকৃত ভুল। অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ঢাবিতে আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।