জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক মহামারি দূর হয়েছে, যক্ষাও দূর হবে। যক্ষা নির্মূলে সরকার যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছে, সরকারের সঙ্গে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যেতে হবে। যক্ষ্মাকে রুখতে হলে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
ডেপুটি স্পিকার গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এন, টি, পি)’র নেতৃত্বে এবং স্টপ ঢিবি পার্টনারশিপ-ইউএনওপিএস’র সহযোগিতায় আইসিডিডিআর, বি এবং প্রিপ ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত যক্ষা নির্মূলে সংসদীয় ককাসের মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় ফখরুল ইমাম এমপির সভাপতিত্বে এবং যক্ষা নির্মূলে সংসদীয় ককাসের সদস্য সচিব আরমা দত্ত এমপির সঞ্চালনায়, সংসদ সদস্য শিরীন আহমেদ, সুলতানা নাদিরা, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, জাকিয়া পারভীন, নার্গিস রহমান, জাকিয়া তাবাস্সুম এবং আফরোজা হক অংশগ্রহণ করেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব এই রোগ নির্মূলে অন্যতম একটি বাধা। যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা ও শনাক্তকরণের হার বৃদ্ধিতে এবং ঝুঁকি কমিয়ে আনতে কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের সম্পৃক্ত করা জরুরি এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি।
মতবিনিময় সভার সভাপতি বলেন, একসময় বাংলাদেশে কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া, কলেরার মতো মহামারি ছিল, এখন নেই। যক্ষা নির্মূলেও বাংলাদেশ সফল হবে। সংসদ সদস্য হিসেবে যক্ষার ভয়াবহতা আমাদের নির্বাচনি এলাকায়, জাতীয় সংসদের বক্তব্যে ও বিভিন্ন আলোচনায় তুলে ধরে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। মতবিনিময় সভায় আইসিডিডিআরদবির সিনিয়র টিবি মিটিগেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন অ্যাডভাইজার, ডা. আজহারুল ইসলাম খান আইসিডিডিআরবি ও প্রিপ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
