ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে দুই মাসের জন্য উৎপাদন বন্ধ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে দুই মাসের জন্য উৎপাদন বন্ধ

বর্তমান ফেইসে কয়লা না থাকায় দুই মাসের জন্য উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ। তবে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় উৎপাদনে কোনো সমস্যা হবে না।

গতকাল বুধবার বিকালে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) খান মো. জাফর সাদিক কয়লার মজুত বর্তমান ফেইজে না থাকায় ২ মাসের জন্য উত্তোলন বন্ধের ঘোষণা দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ হাজার ১১৩ ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেইস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলনের পর উৎপাদিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। এই ফেইসে মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেইসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আজ বৃহস্পতিবার খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ করা হবে।

মো. জাফর সাদিক জানান, ১ হাজার ১১৩ ফেইসের কয়লার মজুত শেষ হওয়ায় এবং নতুন ফেইস ১ হাজার ৪১২ চালু করার জন্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করার জন্য গতকাল সকাল থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন ফেইসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে প্রায় ২ মাস সময় লাগবে। আশা করা যাচ্ছে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ নতুন ফেইস থেকে আবারো উৎপাদন চালু করা সম্ভব। ধারণা করা হচ্ছে নতুন ফেইস থেকে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পাওয়া যাবে।

এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। তবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ ও ২ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপবিদ্যুতের এই ইউনিটটি সচল রাখা সম্ভব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত