না.গঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পদবঞ্চিতদের হামলা

সাংবাদিকসহ আহত ১৫

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে পদবঞ্চিতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ও একটি রিকশা ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ এসে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট রাতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর এই মহানগর যুবদল এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। তারই অংশ হিসেবে মহানগর যুবদলের পদবঞ্চিত নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের অনুসারীরা গত মঙ্গলবার রাত থেকে সংঘবদ্ধ হতে থাকেন হামলার জন্য। সেই সঙ্গে গতকাল বিকালে মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিলের পূর্বে আয়োজিত সমাবেশে জোসেফের অনুসারীরা হামলা চালায়।

ওই সমাবেশে যাকে পেয়েছেন তাদের উপরই হামলা করা হয়েছে। এ সময় কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপার্সন ও ফটোসাংবাদিক আহত হন। এ সময় মহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ হামলা চলার পর পুলিশ এসে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা সহকারে কালো পতাকা মিছিল বের করে। মিছিলটি যখন চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভ অতিক্রম করছিল তখন চাষাঢ়াস্থ শহীদ জিয়া হল মিলনায়তন প্রাঙ্গণে শ্রমিকলীগ জেলা কমিটির শোক দিবসের কর্মসূচি চলছিল। তখন উভয়পক্ষে মৃদু উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব পেয়ে মনিরুল ইসলাম সজল নিজেকে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন কোনো অন্ত ছিল না। বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে কমিটির বিনিময়ে টাকা লেনদেনেরও অভিযোগ ছিলো অনেক বেশি। কমিটির লোভ দেখিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন। সেইসঙ্গে মহানগর যুবদলকেও তিনি গতিশীলও করতে পারেননি। ফলে এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আগে থেকেই ক্ষোভ ছিল।