ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে হবে

বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে হবে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।

তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত সেটা আমাদের আরো ভালো করে জানতে হবে। হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে হবে। কারা এ ঘটনার নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা করেছেন, কারা উপকারভোগী সে বিষয়গুলোও আমাদের জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার আগে ছোট ছোট অনেক ইঙ্গিত পেয়েছি। কিন্তু তখন আমরা বুঝিনি, ভয়ানক একটা সর্বনাশ ধেয়ে আসছিল।

গতকাল দুপুরে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মনে পড়ে বঙ্গমাতার কথা। তিনি বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুকে সাহায্য করতেন। অনেক ইতিহাস বঙ্গমাতাকে নিয়ে। যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বললেও শেষ হবে না।

১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সেদিন আমার পরিচিত একজন বললেন- রাস্তায় এত আর্মি কেন? উত্তরটার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, কিছু সময় পর শুনলাম মেজর ডালিম বলছে সেই ভয়ানক কথা। এর কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমার বাসার পেছনে রক্ষীবাহিনীর সদরদপ্তরের সামনে দুটি ট্যাঙ্ক দাঁড়িয়ে রয়েছে। তখনো আসল ঘটনা বুঝতে পারিনি। যখন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুনলাম মনে হলো আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কি বেঁচে আছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনোদিন বিশ্বাস করতেন না, বাঙালিরা তাকে হত্যা করতে পারে। কিন্তু তাই হয়েছিল। বিদেশে গেলে আমাদের শুনতে হয়, তোমার সেই জাতি, তোমরা তোমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছ। এত কিছুর মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা ছিল প্রশান্তির। তার ফিরে আসায় আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় পথ চলা শুরু করেছিলাম। আমরা হৃদয়ে ধারণ করতাম, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার একদিন হবেই। আমরা সেটা দেখে যেতে পেরেছি। তবে আংশিকভাবে হয়েছে। আশা করি, পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বেঁচেছিলেন বলেই আমরা বাংলাদেশকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলে মানুষ তাকে দেখতে আসেন। বলেন- শেখের বেটি এসেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যার মধ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ভয়াবহ। আমাদের নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে সেদিন নেত্রীকে রক্ষা করেছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত