বগুড়ার সারিয়াকান্দির কাছে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধিতে ব্যাপক হারে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সারিয়াকান্দির কাছে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গতকাল যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীব্র স্রোতের কারণে উপজলোর কামালপুর ইউনিয়নের কামালপুর ও ইছামারা গ্রামের ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ১ মাসে প্রায় পাঁচ শতাধিক বসত বাড়ি ঘর নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কামালপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে ৬০ থেকে ৭০টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন এলাকার লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে জরুরিভাবে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে নদীভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে, এলাকার ফসলি জমি বসতবাড়ি ও মানুষের সম্পদ। এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ হতে ঘরবাড়ি উদ্ধার ও মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় নিরাপদ স্থানে যাবার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
ওই অঞ্চলের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম, সালাম আকন্দ, আরিফুল মন্ডলের সঙ্গে কথা বলা হলে তারা এ প্রতিনিধিকে জানান বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কামালপুর ও ইছামারা এই দুটি গ্রামে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এই এলাকার মানুষ কেউ ৪ থেকে ৫ বার কেউ ৯ বার করে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। নদী ভাঙনের কবলে পড়া লোকজন পার্শ্ববর্তী উপজেলা শেরপুর, ধুনটসহ গোসাইবাড়ী, কামালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে কামালপুর ও ইছামারা এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙন রোধে ৩ কিলোমিটার এলাকায় ঠিকাদারের মাধ্যমে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে নদীভাঙন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে ওই এলাকার মানুষের বসত বাড়ি ও ফসলি জমি নদীভাঙন থেকে রক্ষা পায়।