ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পেঁয়াজের ‘অপরাজিত’ সেঞ্চুরি কমেনি পাঙাশের দামও

পেঁয়াজের ‘অপরাজিত’ সেঞ্চুরি কমেনি পাঙাশের দামও

বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে থাকলেও এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এ দামও এখানেই থামবে তার কোনো ইঙ্গিতও এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া প্রতিকেজি বেগুন (বড় আকারের) বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০, টমেটো ১২০, করলা ৮০ থেকে ১০০, মরিচ ১৬০, পেঁপে ৫০, আলু ৪৫ টাকা ও প্রতি পিস লাউ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পুঁইশাক মানভেদে ৩০ টাকা কেজিতে, কলমিশাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে দেখা যায়, গরিবের মাছ পাঙাশ (বড় সাইজের) বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। ছোট আকারের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তাছাড়া ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০ টাকা, কই মাছ ২৫০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৪০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের মতোই আছে মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ৩৮০ টাকায়, সোনালী মুরগি ৩৫০ টাকা আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় আর খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৮০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কথা হয় বাজারে আসা ক্রেতা দুলাল রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে বাজারে একটা বাজেট নিয়ে আসলে যতটুকু কিনতে পারতাম, এখন তার অর্ধেকও কিনতে পারি। পণ্যের দাম বোধহয় আর কখনো কমবে না। এভাবে চললে সামনে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে। আরেক ক্রেতা মো. জব্বার হোসেন বলেন, সব কিছুর দাম তো শুধু বেড়েই চলছে। আমাদের মতো সাধারণ জনগণের কথা কেউ ভাবে না। এই যে দাম বাড়ছে, কিন্তু আমাদের আয় রোজগার তো বাড়ছে না। বেতনের বেশিরভাগ টাকা যদি এখানেই যায়, তাহলে চলব কী করে?

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত