টাঙ্গাইলে পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পাঁচজনের মৃত্যু
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও নাগরপুরে পানিতে ডুবে চারজন ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, কালিহাতী উপজেলার দেউপুর গ্রামে বেড়াতে এসে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খালা-ভাগ্নির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এরা হচ্ছেন- একই উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে জান্নাতী আক্তার (১১) ও করুয়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া আক্তার জীম (৮)। জীমের মামা জাকারিয়া জানান, জান্নাতী ও জীম সকালে বাড়ির পাশে খেলাধুলা শেষে গোসল করার জন্য পুকুরে নেমেছিল। পরে তারা পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুর থেকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, মরদেহের সুরতাহাল শেষে কালিহাতী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের দেউপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে গতকাল দুপুরে পানি তুলতে মর্টারের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত আব্দুছ ছালাম (৫২) ওই গ্রামের মৃত নজিমুদ্দিনের ছেলে।
নিহতের ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আ. হাই জানান, দুপুরে বাড়ির মর্টারের মাধ্যমে পানি তুলতে গিয়ে সুইচ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার ভাই আব্দুছ ছালাম মারা যান।
অপরদিকে, টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে নদীর পানিতে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের মনোরা গ্রামের বারিন্দা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
এরা হচ্ছে ঢাকার সাভারের রাজাশন এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে আল মামুন (২১) ও একই এলাকার জহির আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২২)।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার বেলাল হোসেন জানান, নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের রাওতারা গ্রামের আল আমিনের বাড়িতে তিন বন্ধু বেড়াতে আসেন। পরে তারা বারিন্দা নদীতে গোসল করতে নামেন। এক পর্যায়ে দুই বন্ধু পানিতে ডুবে যায়। পরে খবর পেয়ে শুক্রবার বিকালের দিকে ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মৃত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, নিহতদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।