যমুনার পানি বিপৎসীমার উপরে * ফসলের ব্যাপক ক্ষতি * বাড়ছে দুর্ভোগ
সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে বন্যা
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল। এতে নিম্নাঞ্চলের বহু পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনাসহ তার শাখা নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বহু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টের চেয়ে কাজিপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার বেশি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সিরাজগঞ্জে এবার বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে যমুনার তীরবর্তী উল্লেখিত উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক কাঁচা পাকা রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এতে অনেক অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ও কলাগাছের ভেলাই যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। নিম্নাঞ্চলের এমন পরিস্থিতি প্রায় সপ্তাহ ধরে। ইতিমধ্যেই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে গেছে। এতে বিশেষ করে চরাঞ্চল এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী অনেক স্থানে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। অবশ্য ভাঙন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। এদিকে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেইসঙ্গে ভূতের মোড়সহ অনেক ভাঙনও শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে। ভাঙন ও নিম্নাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর ত্রাণসামগ্রী চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে তালিকা পেলে ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।