ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

পাহাড়ের পাদদেশে করলার বাম্পার ফলন

পাহাড়ের পাদদেশে করলার বাম্পার ফলন

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে চোখে পড়বে অসংখ্য করলার মাচা। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই এ জেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে চাষিরা করলা চাষ করছেন। এসব করলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারাহ হওয়ায় লাভের মুখ দেখছে চাষিরা। কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা তাদের উৎপাদিত করলা নিয়ে চলে আসেন নিমসার বাজারে এবং ক্রেতারা তাদের কাছ থেকে করলা ক্রয় করে মিনি ট্রাকযোগে সকাল ১০টার মধ্যেই রওয়ানা হয়ে যায় নিজ গন্তব্যে। বর্তমানে প্রতি মণ করলা ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিন নিমসার বাজার থেকে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টন করলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। কুমিল্লার নিমসার বাজারে এসে ঢাকার কারওয়ান বাজারের কামরুল হাসান নামের এক সবজি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান যে, কুমিল্লার করলার গুণগত মান ভালো ও এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভালো হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার করলা রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে সরবরাহ করছেন। লালমাইয়ের করলা চাষি মনির হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর করলা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন তিনি। লালমাই এলাকার কৃষক কুদ্দুস মিয়া বলেন, ১৫ বছর ধরে আমি সবজির চাষ করছি। আগেও করলা চাষ করে ভালো লাভ হয়েছে। চলতি বছর ৩৬ শতক জমিতে করলা চাষ করতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ জমি থেকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। পাইকারি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি, যা খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আইউব মাহমুদ বলেন, সদর দক্ষিণের লালমাই পাহাড় এলাকার ৯০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হচ্ছে। যেখানে পানি জমে না এমন উঁচু-মাঝারি জমির দোঁআশ মাটিতে করলার ভালো চাষ হয়। কৃষি বিভাগ সার ও কীটনাশক প্রয়োগে কৃষককে পরামর্শ দিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত