সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী ও তার শাখা নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টি মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার তীরবর্তীসহ জেলার অনেক নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল। এতে বহু পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রোপা আমন ও বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং সেইসাথে শাখানদী ফুলজোড়, করতোয়া, বড়াল নদীসহ চলনবিলে পানি বাড়ছে। বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরবর্তী সবকয়টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখন পানিতে ভাসছে এবং বহু পরিবার এখন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে যমুনার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক কাচা-পাকা রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এতে অনেক অঞ্চলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে গেছে। এতে চরাঞ্চলের মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। যমুনার তীরবর্তী চৌহালীসহ অনেক স্থানে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। অবশ্য ভাঙনরোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে দুয়েক দিনের মধ্যেই যমুনার পানি কমতে পারে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পেলে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।