হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মিয়ানমারের গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চি। এ অবস্থায় তাকে বাইরে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানোর আবেদন জানানো হলে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে সামরিক সরকার। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। কারাগার বিভাগের চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে ৭৮ বছর বয়সি এই নোবেল বিজয়ীর। সূত্র জানিয়েছে, ‘অং সান সু চি’র মাড়ি বেশ ফুলে গেছে। যার কারণে তিনি ভালোভাবে খেতে পারছেন না। বমি, মাথা ঘোরা ও জ্ঞান হারানো বা নিস্তেজ হওয়ার মতো জটিলতায় ভুগছেন।’
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সু চিকে গ্রেপ্তার করে সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি দেশটির অনেক রাজনীতিককে বন্দি করা হয়।
১৯টি ফৌজদারি মামলায় ২৭ বছরের সাজা হয়েছে অং সান সুচির। এর মধ্যে দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ ও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। সবগুলো অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন তিনি। স্বাধীনতার নায়ক জেনারেল অং সানের কন্যা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের নেতা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছিলেন। এনএলডির সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৮৯ সালে গৃহবন্দি হন। নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী সু চি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গণতন্ত্রের আইকনদের একজন। কিন্তু তার শাসনামলে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নকে সমর্থন জানিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হন। এমনকি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন তিনি।