ইন্টারনেট ডেটা বাঁচান!

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

মোবাইলে ইন্টারনেট ডেটা কিনে যারা ব্যবহার করেন, তাদের অনেকে অভিযোগ করেন যে, ডেটা কিনতে না কিনতেই মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট শেষ হয়ে যায়। সময়ের আগে ডেটা ফুরিয়ে যাওয়ার বিড়ম্বনা কিংবা কাজের সময় ডেটা না থাকলে বড় ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই অসুবিধার হাত থেকে বাঁচতে অনেকে ইন্টারনেট ডেটা বাঁচানোর উপায় খোঁজেন। ডেটা বাঁচাতে যা করতে পারেন- হেভি ডেটা অ্যাপস ব্যবহার করবেন না : ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় সবাই ইউটিউব দেখেন। মোবাইল ফোনে ডেটা খরচ করে এ ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করা বন্ধ করুন। বেশ কিছু স্ট্রিমিং অ্যাপস রয়েছে, যেগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে ডেটা খরচ করাতে বাধ্য করে গ্রাহকদের। এ ধরনের হেভি ডেটা অ্যাপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়াই-ফাইয়ের শরণাপন্ন হোন। নিজের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থেকে ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহারের একটা লিমিট বেঁধে দিন। এই অ্যাপসে থাকা বিশেষ ফিচার ব্যবহার করে ডেটা বাঁচানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ইউটিউব অ্যাপসের সেটিংসে গিয়ে জেনারেল ট্যাব ওপেন করুন এবং লিমিট মোবাইল ডেটা সিলেক্ট করুন। এর ফলে ডেটা ব্যবহারের সময় অপচয় বন্ধ হবে। আবার ওয়াই-ফাইয়ের সংযোগে গেলে ফিচার বন্ধ করতে ইউটিউব স্ট্রিম করলেই চলবে।

ডেটা ব্যবহার লিমিটেড করুন : দীর্ঘ সময়ের জন্য যদি আপনার স্মার্টফোনের ডেটা ব্যবহার সীমিত করতে পারেন, তাহলে বড় লাভ। একবার নতুন ডেটা প্যাক রিচার্জ করানোর পরই বেঁধে দিন ডেটা লিমিট। আর এর ফলে আপনার মোবাইল ইন্টারনেট অনেকটাই সাশ্রয় করতে পারবেন।

ডেটা সেভার মুড অন করে রাখুন : সব চেষ্টা যখন ব্যর্থ হয়ে যায়, তখনই আশার আলো জাগাবে ডেটা সেভার মুড। এই বিশেষ মুড আপনার স্মার্টফোনে একবার অন করে রাখলে, অ্যান্ড্রয়েডে যেকোনো অ্যাপের অধিক পরিমাণে ডেটা ব্যবহারের হার কমিয়ে দেবে। অটো আপডেট বন্ধ রাখুন আপনার স্মার্টফোনটির গুগল প্লে-স্টোর থেকে সব ধরনের অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যার বা অ্যাপের অটো আপডেট বন্ধ রাখুন। অথবা ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে অ্যাপ আপডেট করার অপশনটি এনাবল করে রাখুন।

ক্রোমে ডেটা সেভার ব্যবহার করুন : গুগল ক্রোম অন্যতম জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ব্রাউজার। ডেটা সেভার ব্যবহার করতে ক্রোম খুলুন। ওপরের ডান দিকে কোনায় থ্রি-ডট মেনুতে ক্লিক করে সেটিংসে যান এবং ডেটা সেভার সেট করুন। ডেটা সেভ করতে অফলাইনে থাকা : মোবাইলের ডেটা সেভ করতে প্রয়োজনের বাইরে ডেটা অফ করে রাখলেও ইন্টারনেট খরচ সাশ্রয় করা সম্ভব। এছাড়া ব্যবহৃত অ্যাপগুলোর অটোমেটিক্যালি সিঙ্কিং বন্ধ করলেও ডেটা কম খরচ হবে।