ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজধানীর বাজারদর

সবজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা অন্য পণ্যে নেই সুখবর

সবজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা অন্য পণ্যে নেই সুখবর

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা। ৬০ টাকায় মধ্যে এখন শুধু পেঁপে, পটোল আর ঢ্যাঁড়শ মিলছে। অন্যান্য সবজি কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০-১২০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেও কোনো সুখবর নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যে বলার মতো দাম কমেনি। দু-একটি পণ্যের দাম সামান্য কমলেও বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে তা বেশি। চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আর কমেনি। বলা যায়, এসব পণ্য চড়া দামে আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

রাজধানীর খিলগাঁও, তালতলা ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়। সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সবজির। বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুম না হওয়ার কারণে সবজির সরবরাহ কমছে। এতে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন কোনো জিনিস নেই, যার দাম বাড়েনি। কোনো পণ্যের দাম প্রথমে ১০ টাকা বাড়ে, এরপর দুই টাকা কমে যায়। আর বাকি সময় স্থায়ীভাবে আট টাকা বাড়তি থেকে যায়। এমন একটা চক্রে চলছে বাজার। যেন দেখার কেউ নেই। এখন গরিব মানুষ বাধ্য হয়ে কম খাচ্ছে। অনেকে তো মাছ-মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।

অধিকাংশ ক্রেতা মনে করেন ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেন। ভোক্তাদের জিম্মি করে তারা ব্যবসা করছেন। প্রকৃত কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। খুচরা বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে। বাজারে লম্বা বেগুন ৮০ টাকা আর গোল বেগুন ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এর আগে ২৫-৩০ টাকার মধ্যে আলু খেতে পারত মানুষ। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে। যা প্রায় মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, কাঁচামরিচ ১২০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কমেনি আদা-রসুনের দামও। মানভেদে প্রতি কেজি আদা কিংবা রসুন সর্বনিম্ন ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে একই দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়। কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে ডিম। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। এছাড়া হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে মাছের দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশ চড়া। এসব বাজারে এক কেজি চাষের শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ ও তেলাপিয়া ১৯০-২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৬০০ টাকায়। ছোট ৪০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশের কেজি ৬০০ টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত