ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুরে হাত-পা বেঁধে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

চাঁদপুরে হাত-পা বেঁধে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ববড়কুল ইউনিয়নের বড়কুল উত্তর গ্রামে উত্তম বর্মন (৬০) ও তার স্ত্রী কাজলী রানীকে (৪৫) হাত-পা বেঁধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় ওই গ্রামের পাইন্না বাড়ির (কালা শিকদার বাড়ি) দুলাল সাহার ঘরে জানালা কেটে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায়। উত্তম বর্মন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হরমন চন্দ্র বর্মনের ছেলে। তিনি ও তার স্ত্রী ঘটনাস্থল দুলাল সাহার বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। উত্তম বর্মন স্থানীয় মাছের আড়তে শ্রমিকের কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী কাজলী রানী মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে এসব তথ্য জানিয়ে উত্তম বর্মনের মেয়ে রিনা রানী বর্মন বলেন, তারা দুই বোন। তার বিয়ে হয়েছে মতলবে। সকালে এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে তিনি এসেছেন। তাদের বাড়ি লাকসাম হলেও দীর্ঘদিন হাজীগঞ্জে বসবাস করে আসছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা সাহা জানান, সকালে ফুল তুলতে গিয়ে দেখেন উত্তম বর্মন ও তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠেনি। ডাকার পর সাড়া শব্দ না পেয়ে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ভেতরে দরজা খোলা দেখে পাশের বাসার লোকজনকে খবর দেন। পরে দেখেন দু’জনের হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে আছে। ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব জানান, খবর পেয়ে তিনি ওই বাড়িতে যান। নিহতের মেয়ে রিনা রানীর সঙ্গে কথা বলছি। সে বলেছে তার পিতা-মাতার সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব নেই। ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। আমি চাই যারা ঘটনায় জড়িত তারা দ্রুত বিচারের আওতায় আসুক। এদিকে সংবাদ পেয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দেবনাথ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র ওসি এনামুল হক চৌধুরী, হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একজন নারী ও পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের সঙ্গে পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে। আমরা ক্রাইম সিন থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করেছি। এ ঘটনার পেছনের কারণ হিসেবে কিছু তথ্য পেয়েছি। তথ্য যাচাই-বাচাই সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য এখন থেকেই জেলা পুলিশ কাজ করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত